নীলফামারীর ডোমারে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি বন্ধ এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে শহরের রেলগেট মোড়ে ডোমারবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুবেল ইসলাম। এসময় সাংবাদিক ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুম আহম্মেদ, আজমির রিশাদ, সুমন আহমেদ, আপেল, কামরুল ইসলাম আরেফি, সোহেল রানা, আবু সাইদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
কাউন্সিলর রুবেল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, কাউন্টারে টিকিটের জন্য গেলে টিকিট পাওয়া যায় না। অথচ কালোবাজারিদের কাছ থেকে চড়া দামে টিকিট পাওয়া যায়। এর সঙ্গে স্টেশনের লোকজন জড়িত রয়েছেন। তাদের সহযোগিতায় কালোবাজারিরা চড়া দামে টিকিট বিক্রি করছেন।
Advertisement
জামিয়ার নামের একজন শিক্ষক বলেন, চিলাহাটির টিকিটের জন্য ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। সকাল ৯টায় বলে সব টিকিট কাটা শেষ। অথচ তারা কাউকে টিকিট দ্য়েনি। ফলে বাধ্য হয়ে কালোবাজারিদের কাছ থেকে ৫০০ টাকার টিকিট ৯০০ টাকায় কিনতে হয়েছে।
মাছুম আহম্মেদ নামের আরেকজন অভিযোগ করে বলেন, ‘কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যায় না অথচ কালোবাজারিরা স্টেশনে বসেই টিকিট বিক্রি করছেন। তাহলে তারা টিকিট কোথায় পেল?’
বক্তাদের অভিযোগ, কাউন্টারে গেলেই বলা হয় টিকিট নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও তারা টিকিট পান না। কালোবাজারিরা স্টেশনের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে টিকিট সংগ্রহ করে চড়া দামে বিক্রি করেন।
ডোমার রেলস্টেশন থেকে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেসসহ ছয়টি ট্রেন চলাচল করে। তবে ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট জনসাধারণের কাছে যেন সোনার হরিণ।
Advertisement
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডোমার স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘নিয়ম মেনে ঢাকার টিকিট পাঁচদিন আগে থেকে দেওয়া হয়। আগে ডোমারের জন্য ৭৫টি টিকিট ছিল। এখন তা কমে ৫০টিতে এসেছে। ৫০টি টিকিট বিক্রি করার পর কেউ টিকিটের জন্য এলে তাকে টিকিট দেওয়ার কোনো ক্ষমতা আমাদের নেই। সরকারের নিয়মের বাইরে যাওয়ার আমাদের কোনো ক্ষমতা নেই।’
এসআর/জিকেএস