খেলাধুলা

লাঞ্চের পরই ধাক্কা, হাফসেঞ্চুরি হলো না লিটনের

আগের ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। এবারও হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু দারুণ ছন্দে থাকা লিটন চল্লিশের ঘরে গিয়ে খেই হারালেন।

Advertisement

লিজাড উইলিয়ামসের গতিতে ইনসাইডেজ হয়ে স্ট্যাম্প খোয়ালেন ব্যক্তিগত ৪১ রানে। ৯২ বলের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি হাঁকান লিটন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯৪ রান। মাহমুদুল হাসান জয় ৮৮ এবং ইয়াসির আলি রাব্বি ৩ রানে অপরাহিদ আছেন।

দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন আগের দিন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাসকিন আহমেদ। তবে এরপর আর বিপদ ঘটতে দেননি তরুণ ডানহাতি ওপেনার মাহমুদুদল হাসান জয় ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস।

এ দুজনের অবিচ্ছিন ৮২ রানের সপ্তম উইকেট জুটিতে ফলোঅন এড়ায় বাংলাদেশ। ডারবান টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৭৯ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৩ রান। জয় ৮০ ও লিটন ৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন।

Advertisement

আগেরদিন ৪৯ ওভার খেলে ৪ উইকেটে ৯৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। আজ দিনের শুরুতেই সাজঘরের পথ ধরেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাসকিন আহমেদ। অভিষিক্ত লিজাড উইলিয়ামসের বলে গালিতে দাঁড়িয়ে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন উইয়ান মাল্ডার।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই পাল্টা আক্রমণ করতে থাকেন লিটন দাস। অপর প্রান্তে বরাবরের মতোই আস্থাশীল ব্যাটিং করেন মাহমুদুল জয়। প্রোটিয়া পেসারদের বাউন্সারে পুল-হুক করতে দুইবার ভাবেননি লিটন আর স্পিনার আসতেই খোলস ছেড়ে বের হন জয়।

অফস্পিনার সাইমন হার্মারের করা ইনিংসের ৬০তম ওভারের প্রথম বলে স্ট্রেইট ড্রাইভে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের ফিফটি পূরণ করেন মাহমুদুল জয়। গত বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা নিজের সবশেষ ম্যাচেও ফিফটি করেছিলেন তিনি।

সেদিন পঞ্চাশে পৌঁছতে জয় খেলেন ১৬৫ বল। সবমিলিয়ে ২২৮ বলে করেছিলেন ৭৮ রান। আজ টানা দ্বিতীয় ফিফটি করার পথে জয় খেলেন ১৭০ বল। যেখানে ছিল পাঁচটি চারের মার। ফিফটি ছোঁয়ার পর হাত খুলে খেলেন জয়। হার্মারের বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে হাঁকান বিশাল এক ছয়।

Advertisement

অন্যদিকে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করেন লিটন। একের পর এক দৃষ্টিনন্দন শটে রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মধ্যাহ্ন বিরতির আগপর্যন্ত তিনি করেছেন ৯০ বলে ৪১ রান। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস জয় অপরাজিত রয়েছেন ৮০ রান করে।

অবশ্য দুজনই জীবন পেয়েছেন একবার করে। ব্যক্তিগত ৬৪ রানের মাথায় শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান জয়। আর নিজের ৩৯ রানের সময় শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে জীবন পেয়েছেন লিটন। তার বিপক্ষে কট বিহাইন্ডেরও সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বাঁচেন লিটন।

এমএমআর/জিকেএস