দীর্ঘ দুবছর পর হলে বসে অর্থাৎ সশরীরে পরীক্ষা দিচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের উৎসাহ বাড়ানোর জন্য হাতে তুলে দেওয়া হয় কলম, ফুলের তোরা, ফল, মাস্ক ও স্যানিটাইজার।
Advertisement
পরীক্ষার্থীদের মনে ভয় থাকলেও আনন্দও রয়েছে। কারণ গত বছর করোনা পরিস্থিতির জন্য পরীক্ষার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তাই ছাত্র-ছাত্রীরা বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিল। এ বছর বহু বাধা প্রতিকূলতা কাটিয়ে অবশেষে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আজ প্রথম দিন। এদিন বিভিন্ন স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তৃণমূলের বিধায়করা এবং পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপহার দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পরীক্ষার্থীরা যেন ভালো করে পরীক্ষা দিতে পারে এবং উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সে কারণে উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ।
গত দু'বছর ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনেই পরীক্ষা দিয়েছে। এক পরীক্ষার্থী জানায়, অনলাইনের পরীক্ষার কোনো মান ছিল না, হলে বসে পরীক্ষা দেওয়ার মজাই আলাদা, হাতে লিখে পরীক্ষা আর অনলাইনের পরীক্ষায় তফাৎ অনেক।
Advertisement
অভিভাবকরাও বলছেন, অনলাইন এবং অফলাইনে পরীক্ষার তফাৎ অনেক। সারা বছর ধরে পড়াশোনা করার পর নিজের হাতে লিখে উত্তর দেওয়াটা যথেষ্ট মানসিক শান্তি বিষয়। আমরা সব সময় হলে বসে পরীক্ষা দেওয়াকেই গুরুত্ব দিয়ে আসছিলাম তা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য এই বছর প্রথম ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজ নিজ স্কুলেই পরীক্ষা দিচ্ছে। এর আগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পাশাপাশি অন্য স্কুলে পরীক্ষা দিতো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী একটি অভূতপূর্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
টিটিএন/জিকেএস
Advertisement