কলম্বো দিল্লি থেকে ক্রেডিট লাইন সুরক্ষিত করার পর ভারতীয় ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে প্রধান খাদ্যপণ্যের মধ্যে ৪০ হাজার টন চাল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (২ এপ্রিল) দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
Advertisement
বিদ্যুৎ বিভ্রাট, গ্যাস ও পানির তীব্র সংকট, খাদ্য সংকট, প্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশচুম্বী দামসহ নানা সমস্যার বেড়াজালে আটকা পড়েছে শ্রীলঙ্কার মানুষ। গত বছরের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বাণিজ্য ঘাটতি দ্বিগুণ হয়ে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। এদিকে, বিদেশি ধার-দেনা পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকা শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ। গত মাসে দেশটি শ্রীলঙ্কাকে ১ বিলিয়ন ডলার ক্রেডিট লাইন সহায়তা দিতে সম্মত হয়। যার মধ্যে রয়েছে জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধ সংক্রান্ত পণ্য সরবরাহ করার কথা। ভারত চাল পাঠানোর কারণে কলম্বোতে কিছুটা হলেও চালের বাজারে দর কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে যেটি গত একবছরে দ্বিগুণ হয়েছে।
ইন্ডিয়ান ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি এগ্রিমেন্টের আওতায় শ্রীলঙ্কায় খাদ্যপণ্য সরবরাহ করছে পট্টভী এগ্রো ফুডস। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন দক্ষিণাঞ্চলের বন্দরে চাল লোডিং শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, শিপমেন্টের জন্য প্রথমে কন্টেইনার লোড করছি এবং কিছু দিনের মধ্যে জাহাজ লোডিং শুরু হবে।
Advertisement
এদিকে, তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়া শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমাতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) দিনগত মধ্যরাতে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারির এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে দেশটিতে অর্থনীতি ধসে পড়ার জন্য সরকারকে দায়ী করে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে কলম্বোর মিরিহানায় প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে কয়েকশ মানুষ। এতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের।
টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ৫০ জন। বিক্ষোভের ঘটনায় ৪৫ জনকে আটক করা হয়। রাতেই কলম্বো উত্তর, দক্ষিণ, কলম্বো সেন্ট্রাল, নুগেগোদা, মাউন্ট লাভিনিয়া এবং কেলানিয়ায় কারফিউ জারি করা হয়। পরে শহরগুলো থেকে কারফিউ তুলে নেয় কলম্বো সরকার।
সূত্র: আল-জাজিরা
এসএনআর/জিকেএস
Advertisement