পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিরোধী দলগুলো। এতে হঠাৎ বেশ বেকায়দায় পড়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে ইমরান নিজেই জানালেন তার হাতে এখন তিনটি বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে অনাস্থা ভোট, পদত্যাগ অথবা আগাম নির্বাচন। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাতকারে ইমরান খান বলেন, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও তিনি পদত্যাগ করবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার পরিচালনা করার সক্ষমতা বিরোধী দলগুলোর নেই। তাই আগাম নির্বাচনই সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা। সংসদে রোববার যখন অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট হবে তখন নতুন চমক নিয়ে আসার কথাও জানান তিনি।
ইমরান বলেন, একজন নেতা কখনোই তার কৌশল প্রকাশ করেন না। তবে পুরো ঘটনাকে বিদেশি ষড়যন্ত্র বলেই মনে করেন তিনি।
Advertisement
এরা আগে দেশটির তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী নিরাপত্তা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নিরাপত্তা সংস্থার প্রতিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধী দলগুলো। গত ২৮ মার্চ জাতীয় পরিষদে আলোচনার জন্য অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এ প্রস্তাব নিয়ে এখনো আলোচনা শুরু হয়নি। বিধি অনুযায়ী, প্রস্তাব উত্থাপনের পর আলোচনা শুরু করতে ন্যূনতম তিন দিন থেকে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় নেওয়া যায়।
এমএসএম/এমএস
Advertisement