বৃহস্পতিবার ম্যাচের প্রথম দিন সাইট স্ক্রিন ও আলোকস্বল্পতার ঝামেলার মাঝেও খেলা ৭৬.৫ ওভারে মাত্র ৪ উইকেট নিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। আজ নিজেদের শুধরে নিয়ে প্রথম সেশনের ২৮.১ ওভারে তুলে নিয়েছে আরও ৪ উইকেট।
Advertisement
যার সুবাদে এখন অল্পেই স্বাগতিকদের অলআউট করার আশা দেখছে টাইগাররা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩১৪ রান। আজকের প্রথম সেশনে ২৮.১ ওভারে ৮১ রান করতেই ৪ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। বাকি দুই উইকেটের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ। ডারবানের কিংসমিডে আগেরদিন ৭৬.৫ ওভারে করা ৪ উইকেটে ২৩৩ রান নিয়ে আজকের খেলা শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের ৮০ ওভার যেতেই দ্বিতীয় নতুন নেয় বাংলাদেশ। আর নতুন বল পেয়েই আগুন ঝরান ডানহাতি পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
ইনিংসের ৮৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কাইল ভেরেনকে পরাস্ত করেন টাইগার পেসার। তার নিচু হয়ে যাওয়া ডেলিভারি প্রোটিয়া ব্যাটারের প্যাডে লাগলে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। ২৮ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ভেরেন।
পরের বলে উইয়ান মালডারকে ‘গোল্ডেন ডাক’ দেখান খালেদ। এবার ব্যাটে বল লেগে চলে গিয়েছিল গালিতে, ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন মাহমুদুল হাসান জয়। তৈরি হয় হ্যাটট্রিকের সুযোগ। তবে হ্যাটট্রিক বলে নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন মহারাজ।
Advertisement
শুধু সেই হ্যাটট্রিক বলও নয়, বাভুমার সঙ্গে মিলে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় উইকেটে কাটিয়ে দেন এ বাঁহাতি স্পিনার। সুযোগ যে আসেনি তা নয়। ইনিংসের ৯২তম ওভারে এবাদতের বাউন্সারে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন বাভুমা। কিন্তু সেটি তালুবন্দী করতে পারেননি ইয়াসির রাব্বি।
মনে হচ্ছিল, বাভুমা-মহারাজের জুটিতেই দলীয় তিনশ পার করে ফেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। তখনই জাদু নিয়ে আসেন মিরাজ। ইনিংসের ৯৬তম ওভারে আক্রমণে এসে ৯৮তম ওভারেই সাফল্যের দেখা পান তিনি। তার শার্প টার্নের ডেলিভারিতে বোল্ড হন ৯৩ রান করা বাভুমা।
পরের ওভারের প্রথম বলে আরেক সেট ব্যাটার মহারাজের স্ট্যাম্প ছত্রভঙ্গ করেন এবাদত। আউট হওয়ার আগে ৪০ বলে ১৯ রান করেন লেজের সারির এই ব্যাটার। পরপর দুই ওভারে দুই উইকেটের পতনে স্বস্তি ফিরে আসে টাইগার শিবিরে।
এরপর সেশনের বাকি সময়টা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন দুই বোলার সাইমন হার্মার ও লিজাড উইলিয়ামস। অবশ্য সাফল্যের সুবাস পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ১০৩তম ওভারের পঞ্চম বলে লেগ বিফোরের সিদ্ধান্তে রিভিউ নিয়ে নিজের উইকেট বাঁচান লিজাড।
Advertisement
সেই রিভিউ নিয়েও হয় একপশলা নাটক। এবাদতের করা লেগ স্ট্যাম্প লাইনের ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারেননি লিজাড। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের জোরালো আবেদনে লম্বা সময় চিন্তা করে আউটের সিদ্ধান্ত জানান আইসিসির সেরা আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস।
তবে রিভিউ নেন লিজাড। রিপ্লে'তে দেখানো হয় বলটি কি না পড়েছে লিজাডের অফস্ট্যাম্পের বাইরে! তাই প্রথমে একবার তিন রেডসহ আউট দেখানো হয় লিজাডকে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই টেকনোলজির এই গড়ল শুধরে নেন আম্পায়ার।
ঠিক করার পর দেখা যায় বলটির পিচিং ছিল লেগস্ট্যাম্পের বাইরে। তাই উইকেটবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ, রাগে ফুঁসতে থাকেন এবাদত। সেশন শেষে হার্মার ২০ বলে ৮ ও লিজাড ২১ বলে ৬ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন।
এসএএস/এএসএম