কবি অক্ষয় চৌধুরী ছিলেন রবীন্দ্রনাথের দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথের বন্ধু। তবু কিশোর রবির সঙ্গে তার খুব ভাব ছিল। রবীন্দ্রনাথ কিশোর বয়সেই অক্ষয় চৌধুরীর সঙ্গে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে নানারকম আলোচনা করতেন।
Advertisement
একবার পয়লা এপ্রিলের দিন জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে অক্ষয় চৌধুরীর আসার কথা। রবি আগে থেকেই জ্যোতিদাদাকে বলে রেখেছেন, আজ অক্ষয় চৌধুরীকে এপ্রিল ফুল করতে হবে অর্থাৎ ঠকাতে হবে। জ্যোতিদাদা হেসে সায় দিয়েছেন।
সেদিন বিকেলে রবি ও জ্যোতির বাবামশাই মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে যেতেই রবি প্রস্তুত! যথা সময়ে অক্ষয় চৌধুরী এলেন। রবি নকল দাড়ি গোফ লাগিয়ে পাশী সেজে তার সঙ্গে আলাপ জমিয়ে দিলেন। বললেন, হামি বোম্বাই থেকে আসেছি, ভাইসাব।
সঙ্গে সঙ্গে ছদ্মবেশী রবি তার সঙ্গে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে আলোচনাও শুরু করে দিলেন। অক্ষয় চৌধুরীও আলোচনা জুড়ে দিলেন পাশী ভদ্রলোক অর্থাৎ ছদ্মবেশী রবির সঙ্গে।
Advertisement
রবির এত নিখুঁত অভিনয় যে অক্ষয় চৌধুরী একটুও বুঝতে পারলেন না। ভেতর থেকে সব দেখে হাসতে লাগলেন জ্যোতিদাদা। কিন্তু সব পণ্ড হয়ে গেল তারকনাথ পালিত আসতেই!
তারকনাথ পালিত এসেই রবিকে ঠিক চিনতে পারলেন। রবির মাথায় চাপড় মেরে বললেন, এ কী রবি! কী হচ্ছে?
ব্যাস, সঙ্গে সঙ্গে পাশী ভদ্রলোকের নকল দাড়ি গোফ খসে পড়ল! অক্ষয় চৌধুরী দেখলেন ও চিনলেন আসল রবিকে। জ্যোতিদাদাসহ অন্যরা হাসতে হাসতে বেরিয়ে এলেন।
অক্ষয় চৌধুরী ভাবলেন, সত্যি রবি আচ্ছা এপ্রিল ফুল করেছে বটে! এমন ঠকা আগে কখনো ঠকিনি!
Advertisement
লেখা: সংগৃহীতছবি: সংগৃহীত
প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।
কেএসকে/এমএস