হাফেজ মাসুদুর রহমান (১৮) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় গত মঙ্গলবার দিনভর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ও সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গণসহ বিভিন্ন স্থাপনায় তাণ্ডব চালানো হয়। এ ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্র-শিক্ষকরা জড়িত নন বলে দাবি করেছে জামিয়া ইসলামি ইউনুছিয়া মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বেলা ১১টায় মাদ্রাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফ্তি মুবারকুল্লাহ এ দাবি করেন।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্র-শিক্ষকরা জড়িত নন। হামলাকারীরা সবাই দুষ্কৃতিকারী, যদি কোনো মাদ্রাসাছাত্র ওই হামলার ঘটনায় জড়িত থাকেন তাহলে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ওই মাদ্রাসাছাত্রকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।শহরজুড়ে চালানো তাণ্ডবের ঘটনার উস্কানিদাতা হিসেবে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আল্লামা মনিরুজ্জামান সিরাজীকে দায়ী করে জেলা আওয়ামী লীগের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ও সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গণসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।এসময় তিনি নিহত মাদ্রসাছাত্র হাফেজ মাসুদুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রধান আশেকে এলাহী, শিক্ষা সচিব মুফ্তি শামছুল হক, মুহাদ্দিছ মুফ্তি আবদুর রহিম কাসেমী প্রমুখ। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, এক মাদ্রসাছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার দিনভর বিক্ষুব্ধ মাদ্রাসাছাত্ররা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দীন সঙ্গীতাঙ্গণসহ শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এমজেড/আরআইপি
Advertisement