খেলাধুলা

সমর্থক-গণমাধ্যমের জন্যই ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য

ক্রিকেটের অভিজাত আঙ্গিনায় প্রবেশের পর তিক্ত সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। একসময় বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নেয়ার শত শত প্রস্তাব বাতাসে উড়েছে। সেই সময় আজ ইতিহাস হয়ে গেছে। সব সমালোচনা আর গালিগালাজকে ইতিহাস বানিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ আইসিসির কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। আর বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রেখেছে সমর্থক ও গণমাধ্যম। বাংলাদেশের ক্রিকেটের সম্প্রতি সাফল্য নিয়ে গবেষণা করতে ঢাকা অবস্থানরত আইসিসির গবেষক শিলা নিউগেনের মূল্যায়ন এমনই।বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে যাদের অবদান অপরিসীম, তাদের মধ্যে অন্যতম দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। তিনদিনের সফরে যা খুঁজে বের করছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিলা নিউগেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ঘুরে ক্রিকেট সমর্থক গোষ্ঠী বিসিএসএ`র সভাপতি জুনায়েদ পাইকারের সাথে বৈঠক করেন তিনি।অস্ট্রেলিয়া ডেকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিলা নিউগেন বলেন, `ক্রিকেটকে নিয়ে এখানকার সমর্থকদের আগ্রহ দেখে আমি অভিভূত। ক্রিকেট এখানে আরাধনার মতো একটি বিষয়। গণমাধ্যমেরও বড় ভূমিকা আছে খেলাটিকে এগিয়ে নিতে। তবে এই সাফল্যকে ধরে রাখতে হলে বাংলাদেশকে নেপথ্যের বিষয়গুলো আরও চর্চা করতে হবে।`বাংলাদেশকে রোলমডেল মানবে অন্যদেশ। আইসিসির গবেষণার একটা অংশ হতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করছে বিসিএসএ। সংগঠনের সামনের কর্মসূচি অধিনায়ক মাশরাফিকে নিয়ে বই প্রকাশনা।বিসিএসএ সভাপতি জুনায়েদ পাইকার বলেন, `বাংলাদেশকে রোলমডেল হিসেবে আইসিসি চিন্তা করছে। এটা বিশাল একটা গর্বের বিষয়।`আর ক্রিকেটের উন্নয়নে আইসিসির গবেষণার একটি অংশ হতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছেন ক্রিকেট সমর্থক গোষ্ঠী বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন- বিসিএসএ।বাংলাদেশসহ ৭টি দেশ নিয়ে ক্রিকেটের উন্নয়নে গবেষণা চালাচ্ছে আইসিসি। অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে সংগ্রহ করা উপাত্তগুলো নিয়ে আইসিসির কাছে রিপোর্ট করবেন নিউগেন।এমআর/আরআইপি

Advertisement