র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে নিরাপত্তাকর্মী হতে হবে, তবেই ১৬ কোটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।শুক্রবার সকাল সোয়া ১১টায় ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের নিরাপত্তা উপলক্ষে ইজতেমা ময়দানের পাশে মন্নু মিল এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।র্যাব ডিজি বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রথম পর্বের ইজতেমা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আজ থেকে আবারো শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বের ইজেতেমায় নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে আরও শক্তিশালী ও বিশাল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।তিনি বলেন, টঙ্গি বিল এলাকায় এবার নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। মোটরসাইকেলেও এবার পেট্রল মহড়া চলছে। উপরে হেলিকপ্টার দিয়ে টহল অব্যাহত থাকবে।র্যাব ডিজি বলেন, পোষাকেরও বাইরে বিপুল সংখ্যক সাদা পোষাকের র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো ইজতেমা এলাকায় সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যা দিয়ে র্যাব কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি ও মনিটরিং করা যাচ্ছে।তিনি বলেন, দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। এ উপলক্ষে অনিয়মিত লাখো মুসল্লি এখানে মোনাজাতে অংশ নেন। আখেরি মুনাজাত আমাদের চ্যালেঞ্জ। গত পর্ব ও বিগত দিনের অভিজ্ঞতার আলোকে আরও বেশি সিকিউরিটি’র ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।ইজতেমার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে অন্য সকল বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকল বাহিনীর সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। গাজীপুর জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।ইজতেমাকে ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি রয়েছে কি না জানতে চাইলে র্যাব ডিজি বলেন, হুমকি নেই। তবে সম্ভাব্য সব ধরণের হুমকির বিষয়ে বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি নিশ্চিত করা হয়েছে। এজন্য অন্য সকল গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, র্যাবেরে গোয়েন্দা প্রধান, লে: কর্নেল আবুল কালাম আজাদ, র্যাব-১ অধিনায়ক(সিও) তুহিন মো. মাসুদ, লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান, উপ-পরিচালক রুম্মান মাহমুদ ও সিনিয়র সহকারি পরিচালক মাকসুদুল আলম।জেইউ/এআরএস/আরআইপি
Advertisement