সদ্য প্রকাশিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণে এবার রেকর্ড সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে। তড়িঘড়ি করে ফল প্রকাশের কারণে পরীক্ষার্থীরা কাঙ্খিত ফল না পেয়ে এ আবেদন করেছেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় জেএসসি পরীক্ষার ফল। এবার ২২ লাখ ৭২ হাজার ২৮৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করে ২০ লাখ ৯৮ হাজার ৮২ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। কিন্তু পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলে অসন্তুষ্টি জানিয়ে আটটি বোডে পুনরায় খাতা দেখার চ্যালেঞ্জ করে ৬৩ হাজার ৯৮৭ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এই আবেদনকারীরা মোট ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৩টি উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছেন। যা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৪ শতাংশ। ঢাকা বোর্ডে ফল আপত্তিকারীর সংখ্যা সর্বোচ্চ। প্রায় ৫৪ হাজার ১৫১টি বিষয়ভিত্তিক আবেদন করেছেন এ বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা। এদিকে, জেএসসি পরীক্ষায় এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর ফল চ্যালেঞ্জকে ভাবনার বিষয় বলছেন শিক্ষাবিদরা। তারা বলছেন, জেএসসিতে পাসের হার ছিল ৯৪ শতাংশের বেশি। এরপর কেন এত সংখ্যক শিক্ষার্থী খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন তা আসলেই চিন্তার বিষয়। তাদের মতে, দ্রুত বেশি সংখ্যক খাতা দেখায় অথবা সঠিকভাবে মূল্যায়িত না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা খাতা পুনরায় দেখার চ্যালেঞ্জ করেছেন।বোর্ড সূত্র জানায়, জেএসসিতে এত সংখ্যক শিক্ষার্থী পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন করার এটাই রেকর্ড। এর আগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় দেড় লাখের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর ফল প্রকাশের পরদিন থেকে ৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত পুনর্নিরীক্ষার আবেদন নেয়া হয়। এরপর ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণের জন্য উত্তরপত্রের তালিকা জমা নেয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী খাতা পুনর্মূল্যায়ণ করে ৩০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শ্রীকান্ত কুমার চন্দ বলেন, খাতার দেখাতে কোনো অসঙ্গিত থাকার কথা নয়। সাধারণত খুব কম সময়ে প্রচুর খাতা দেখার কারণে নানা ভুলত্রুটি হয় পরীক্ষকদের। এটা খুবই কম। তারপর কেউ যদি খাতা পুনরায় দেখতে চায় সে ব্যবস্থাও আছে।এনএম/এসকেডি/আরআইপি
Advertisement