বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে। শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের শুরু হয়। আম বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান। বাংলায় তর্জমা করেন মাওলানা দেলোয়ার হোসেন। এ পর্বে ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন ঢাকাসহ ১৬টি জেলার মুসল্লিরা। এবার ইজতেমায় পুরো ময়দানকে ২৯টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ৫১তম বিশ্ব ইজতেমা।এদিকে, প্রথম পর্বে অংশ নেয়া বেশ কিছু বিদেশি মুসল্লি দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেয়ার জন্য তারা ময়দানের বিদেশি নিবাসে রয়ে গিয়েছিলেন।ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা গেছে, দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় মুসুল্লিদের অংশ নেয়ার জন্য জেলাওয়ারি পুরো প্যান্ডেলকে ২৯টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এতে ১৬টি জেলার মুসল্লিগণ অংশ নিয়েছেন। খিত্তা অনুযায়ী এসব জেলা হলো- ১নং থেকে ৭ নং খিত্তায় ঢাকা জেলার বাকি এলাকা, ৮নং খিত্তায় ঝিনাইদহ, ৯ ও ১১ নং খিত্তায় জামালপুর, ১০ নং খিত্তায় ফরিদপুর, ১২ ও ১৩ নং খিত্তায় নেত্রকানা, ১৪ ও ১৫ নং খিত্তায় নরসিংদী, ১৬ ও ১৮ নং খিত্তায় কুমিল্লা, ১৭ নং খিত্তায় কুড়িগ্রাম, ১৯ ও ২০ নং খিত্তায় রাজশাহী, ২১ নং খিত্তায় ফেনী, ২২ নং খিত্তায় ঠাকুরগাঁও, ২৩ নং খিত্তায় সুনামগঞ্জ, ২৪ ও ২৫ নং খিত্তায় বগুড়া, ২৬ ও ২৭ নং খিত্তায় খুলনা, ২৮ নং খিত্তায় চুয়াডাঙা এবং ২৯ নং খিত্তায় পিরোজপুর জেলার মুসল্লিগণ অংশ নিয়েছেন।এদিকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়, টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান ইজতেমা ময়দানের উত্তর পার্শ্বে নিউ মন্নু কটন মিলের অভ্যন্তরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।গাজীপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, পুলিশের প্রায় ১২ হাজার সদস্য ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন। বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বে মুসল্লিদের নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম থেকে তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। ৫ স্তরের এ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ইজতেমা ঢেকে রাখা হয়েছে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন ঘটতে না পারে সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।দ্বিতীয় পর্বে নিরাপদ যাতায়াত ও সুষ্ঠুভাবে যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকছে ঢাকা মহানগর পুলিশ, ঢাকা ও গাজীপুর জেলা পুলিশ।এসকেডি/আরআইপি
Advertisement