দেশজুড়ে

মৃত্যুর পর ভিখারির ঘরে মিলল লাখ টাকা

মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে জমানো প্রায় লাখ খানেক টাকা শেষ পর্যন্ত ভোগ করে যেতে পারলেন না বৃদ্ধা আলেয়া বেগম (৭০)। জীবনের বেশির ভাগ সময় ভিক্ষাবৃত্তি করে কাটিয়েছেন তিনি। তবে ভিক্ষার টাকা খরচ না করে পলিথিনের শপিং ব্যাগে ভর্তি করে জমিয়ে রাখতেন আলেয়া বেগম। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সোমবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আলেয়া বেগমকে। এরপর সেখানেই তার মৃত্যু হয়।গত তিন বছর ধরে বরিশাল নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী আদম আলী সড়কের মো. সবুরের বাড়ির একটি কক্ষ ৬০০ টাকায় ভাড়া থাকতেন আলেয়া বেগম। আলেয়ার বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বলইকাঠী গ্রামে। আলেয়া বেগমের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন শেষে বুধবার সকালে তার ভাই এনায়েত হোসন যান বোনের ভাড়া বাসার মালামাল নিতে। এ সময় কক্ষে কয়েকটি পলিথিনের শপিং ব্যাগ ও কাগজের ঠোঙ্গা ভর্তি টাকা-পয়সা দেখতে পান ভাই এনায়েত হোসন। পাশাপাশি একটি ড্রামে ও একটি বস্তায় পাওয়া যায় এক মন ১০ কেজি ভিক্ষার চাল।এক টাকা, দুই টাকা থেকে শুরু করে ৫০০/১০০০ টাকার নোটও ছিল। তবে বেশির ভাগ টাকাই ছিল ছোট নোট ও কয়েন। পরে এলাকাবাসী ও তার ভাই এনায়েত হোসেন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পলিথিনের শপিং ব্যাগ ও কাগজের ঠোঙায় বৃদ্ধা আলেয়া বেগমের জমানো টাকা গণনা করেন। গুণে তারা দেখতে পান সেখানে ৯৬ হাজার ৪০০ টাকা রয়েছে। ৫০০/১০০০ টাকার নোট মিলে হয় ৩৩ হাজার টাকা। বাকি বেশির ভাগ টাকাই ছোট নোট ও কয়েন।এ ব্যাপারে ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অ্যাড. জাহিদুল কবির জানান, ৯৬ হাজার ৪০০ টাকা ও ৫০ কেজি ভিক্ষার চাল বৃদ্ধা আলেয়া বেগমের কক্ষ থেকে পাওয়া যায়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সেই টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা মসজিদ ও মাদ্রাসায় দান করা হয়। বাকি টাকা তার ভাইকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। সাইফ আমীন/এআরএ/আরআইপি

Advertisement