ব্যাংক কর্মকর্তা ও সাবেক গণমাধ্যমকর্মী গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক। যে কোনো ধরনের পুলিশি হয়রানির বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স বলেও জানান তিনি ।বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নওগাঁ শহরের এটিএম মাঠে অনুষ্ঠিত পুলিশিং মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। শহীদুল হক বলেন, জঙ্গিবাদের সাথে যারা সম্পৃক্ত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেইসঙ্গে সমাজের ভালো মানুষদের পুলিশিং এর সাথে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি পুরস্কার দিতে হবে। তিনি বলেন, ইসলামি লাইনে যারা পড়াশুনা করেন, ইসলামি চিন্তাবিদ, ইসলামি শিক্ষক, মসজিদের ইমামদের পুলিশিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত করতে হবে যাতে কেউ সাহস না পায় জঙ্গিবাদ, নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে।তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু আহ্বানে পুলিশ এবং জনগণ এক কাতারে চলে এসেছে। পুলিশ মানুষের সেবক। পুলিশং এর মাধ্যমে জনগণের সেতু বন্ধনের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। জনগণ পুলিশের সাথে থাকলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব। তিনি বলেন, মাদক বিক্রেতাকে ধরে হাজতে চালান করা হয়। জামিনে ছাড়া পেয়ে আবার কার্যক্রম শুরু করে। মাদককে নির্মূল করা সম্ভব না। সবাইকে যদি মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন করা যায় তাহলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব। মাদকের চাহিদা কমে যাবে, ব্যবসা কমে যাবে এবং মাদক বন্ধ হয়ে যাবে।নওগাঁ পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ইকবাল বাহাব, জেলা পরিষদের প্রশাসক একেএম ফজলে রাব্বী বকু, জেলা প্রশাসক ড. আমিনুর রহমান, জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি সামছুল হক, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, অ্যাডভােকেট শহীদ হোসেন স্বপন, পারভিন আকতার, সদর থানা মসজিদের পেশ ঈমাম আকারম হোসনে, নাটক অভিনেতা বৃন্দাবন দাশ, চঞ্চল চৌধূরী ও শাহানাজ খুশী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।আব্বাস আলী/এসকেডি/আরআইপি
Advertisement