মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত (অস্থায়ী) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিলো মঙ্গলবার। কিন্তু প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত ৯ অক্টোবর তারিখে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পিপি আসাদুজ্জামান খান রচি মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন। তিনি আবেদনের পক্ষে শুনানিতে বলেন, ‘এ মামলায় সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। ফলে আরও অনেককে সাক্ষী করা যায়নি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য মামলাটি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।’আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে মামলাটি সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এর পর ওই বছরের ২ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং মৃত্যু সনদপত্র পেতে দেরি হওয়ায় ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।দীর্ঘ ১৯ বছর মামলাটি বিভিন্ন কারণে ঝুলে ছিল। বিচার চলাকালে পর্যায়ক্রমে মোট ২২ জন বিচারক বিচারিক কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। এর মধ্যে ২২ জনই বিভিন্ন কারণে বদলি হয়েছেন। ২২ জানুয়ারি মামলার ২২তম বিচারক ঢাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তার আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণা দিন ধার্য করেন।গত ২২ জানুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার কার্যক্রম শেষ হয়। এ সময় মামলার প্রধান আসামি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এবং বাকি দুই আসামি মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভুইঞা।
Advertisement