খেলাধুলা

দ্বিতীয় অভিষেকের অপেক্ষায় আমির

বিভিষিকাময় ৫টি বছর পার হয়ে গেছে গতবছর ২ সেপ্টেম্বর। তবে, মোহাম্মদ আমির ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ পেয়েছিলেন গত বছর জানুয়ারিতে। তখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করে চলেছেন বাম হাতি এ পেসার। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে তো আর কারও মন ভরে না। ক্রিকেট খেলাটার মূল মাহাত্ম্যই তার কাছে থাকে অধরা। বিশেষ করে এক সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপট দেখানো কোন ক্রিকেটার দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকলে যে তার নাভিশ্বাস ওঠে, তা সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার ছাড়া আর কে’ই বা বুঝতে পারে!অবশেষে সেই অপেক্ষার প্রহরও শেষ হতে চলেছে মোহাম্মদ আমিরের। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে, নানা বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে অবশেষে পাকিস্তান জাতীয় দলের জার্সিটা উঠতে যাচ্ছে মোহাম্মদ আমিরের গায়ে। আগামীকালই (শুক্রবার) অকল্যান্ডে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার অভিষেক হতে যাচ্ছে মোহাম্মদ আমিরের। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় শুরু হবে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তানের মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার রাস্তাটা আমিরের সামনে মোটেও মসৃন ছিল না। একে তো স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ ছিলেন পাঁচ বছর। তারওপর, যেই না জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছিলেন তিনি, তখনই বিরোধীতা করে বসে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার। মোহাম্মদ হাফিজ এবং আজহার আলি থেকে শুরু করে সিনিয়ররা সরাসরি বলে দেন, আমির থাকলে তারা খেলবেনই না। যুক্তি, দেশের মুখে কালি ছিটিয়েছেন- এমন কোন ক্রিকেটারের সঙ্গে তারা অন্তত ড্রেসিংরূম ভাগাভাগি করতে পারেন না। এমনকি, আজহার আলি ওয়ানডে নেতৃত্ব পর্যন্ত ছাড়তে চেয়েছিলেন। যদিও, শেষ পর্যন্ত আইসিসির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।দেশের সব ঝামেলা চুকিয়ে ফেললেও, আমিরের সামনে ছিল ভিসা সমস্যা। সরাসরি অপরাধের সঙ্গে জড়িত এমন কাউকে ভিসা দেওয়ার নিয়ম নেই নিউজিল্যান্ডের। যে কারণে দেশটির ভিসা পাওয়া নিয়ে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয় আমিরকে। যদিও, শেষ পর্যন্ত সেই ঝামেলাও কেটে গেছে খুব অনায়াসে।আমির ফেরাতে যতটা উদ্বীপ্ত পাকিস্তান শিবির, তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি উদ্বীপ্ত নিউজিল্যান্ড। একে তো ঘরের মাঠ, তারওপর দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে কিউইরা। একের পর এক রেকর্ড গড়ছে আর ভাঙছে তারা। শ্রীলংকাকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে কিউইরা। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। নিঃসন্দেহে ফেভারিটের তকমা রয়েছে কিউইদের ললাটে। যদিও পাকিস্তান চাইছে, এই সিরিজের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল প্রস্তুতিটা সেরে ফেলার। এখন দেখার বিষয়, মোহাম্মদ আমিরের ফেরাটা কেমন হয় আর পাকিস্তান উদ্দীপনা নিয়ে কতদুর এগুতে পারে?আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement