আমরা অনেকেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং প্রযুক্তি পরিবৃত্তির জন্য কাজ করছি। আমিও প্রায় পঁচিশ বছরের ওপর। প্রধানত পরিপাকতন্ত্র এবং লিভার রোগের ওপর। তবে এ কাজগুলো প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক।
Advertisement
তবে কোভিডকালে আমরা কয়েকজন এক হয়ে একটি Global platform এর কথা চিন্তা করে Planatary Health Academia নামের একটি সংগঠন তৈরি করি। ফ্লেরিডা থেকে আমি, ইনডিয়ানার ডা. তাসবির ভাই, কেমব্রিজের ডা. ফরিদ, নেভানোর ডা. হাফিজ ভাই এবং ডালাসের ডা. হাফিজ ভাই মিলে কাজ শুরু হয়। প্রাসাশনিক কাজে বাংলাদেশে সহযোগাতা করতেন ডা. শামিম। এখন করেন ওমর।
এর মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল প্রবাসী বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এক করে স্বাস্থ্য শিক্ষা, গবেষণা , শিক্ষা পদ্ধতি এবং প্রযুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সাথে একসাথে কাজ করা।
গত দেড় বছরে আমরা আমেরিকা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ, নিউজিল্যান্ডসহ নানা দেশের দুশোরও বেশি ফ্যাকাল্টি নিয়ে বিশটির বেশি স্পেশালিতে নিয়মিত ওয়েবিনারের মাধ্যমে তিন হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি চিকিৎসকদের শিক্ষাপ্রদান করেছি। দুশোরও বেশি বাংলাদেশের স্পেশালিস্ট শিক্ষক আমাদের সাথে সংযুক্ত হয়েছেন।
Advertisement
আমরা বারোটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন করেছি সারা বিশ্বের অনেক খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে।
এরই মাঝে আমরা শুরু করেছি বাংলাদেশের তরুণ চিকিৎসকদের জন্য আমেরিকা ও ইংল্যান্ডের সনামধন্য প্রতিষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম।
বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শুরু হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মেন্টরশীপ প্রোগ্রাম “PHA AMBASSADOR program". আমেরিকায় উচ্চ চিকিৎসায় শিক্ষিত হবার জন্য উৎসাহী তরুণ চিকিৎসকদের জন্য আমরা শুরু করেছি “Road to Residency program”.
বাংলাদেশে জনসাধারণের জন্য “বেসিক লাইফ সাপোর্ট প্রোগ্রাম” শুরু করেছি আমরা একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে।
Advertisement
আমরা বাংলদেশের চিকিৎসকদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি।
বাংলাদেশের দু'শতাধিক বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ যারা আমাদের সাথে আছেন তাদের সাথে মতবিনিময়ের জন্য আমরা এক হয়েছিলাম। অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি আমরা। সবার প্রশংসা এবং উদ্দীপনায় আমরা মুগ্ধ। এ কাজগুলো ছাড়াও ভবিষ্যতে আরো বড় বড় কিছু কাজ করবো আমরা।
বাংলাদেশের সন্তান আমরা। মাটির টানে, মানুষের ভালোবাসার টানে, মানবতার টানে আমরা ছিলাম, আছি এবং থাকবো।
ফ্লোরিডা
এইচআর/জেআইএম