দেশজুড়ে

কক্সবাজারে ডাকাতির মাছ জব্দ!

কক্সবাজার শহরের ফিশারিঘাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে সমুদ্রে জলদস্যু কর্তৃক লুণ্ঠিত বিপুল পরিমাণ (প্রায় ৫০ মণ) রিটা (গুইজ্জা) মাছ জব্দ করেছে পুলিশ। পুলিশ এসব মাছ ট্রলার থেকে ডাকাতি করা হয়েছে বলে দাবি করলেও এসব মাছ ক্রয় করেছেন বলে দাবি করেছেন শফিউল আলম বাশি গং এর এক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার বিকেলের প্রথম প্রহরে শহরের ৬ নম্বর ফিশারিঘাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ট্রলার ভর্তি এসব মাছ জব্দ করা হয়। কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন জাগো নিউজকে জানান, মৎস্য ব্যবসায়ী আড়তদার সমিতির দেয়া তথ্য মতে গত কয়েকদিন আগে ফিশিং বোট মালিক আমির হোসেন, নুরুল আমিন খোকা ও হাসানের বোট থেকে মাছ ডাকাতি হয়েছে। মাছগুলো শফিউল আলম গ্রুপ ডাকাতদের কাছ থেকে নিয়ে ফিশারি ঘাটে বিক্রি করতে আনেন। এসময় মাছগুলো শনাক্ত করে ব্যবসায়ীরা পুলিশকে খবর দেন। থানা পুলিশের উ-পরিদর্শক (এসআই) মনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে মাছগুলো জব্দ করেন।স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, নাছির উদ্দিন বাচ্চু তার ভাই ওসমান গণি টুলু ও শফিউল আলম বাশি দীর্ঘদিন ধরে ফিশারিঘাট এলাকায় সিন্ডিকেট করে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। সোনাদিয়াদ্বীপে তাদের বেশ কিছু আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। তাদের মাধ্যমে ডাকাতদের লুণ্ঠিত মাছ সংগ্রহ করে বিক্রি করে থাকেন তারা। এসব কারণে তাদের সঙ্গে ডাকাতদের যোগসাজেশ রয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।কিন্তু শফিউল আলম বাশির দাবি, এসব মাছ ডাকাতির নয়। তিনি ক্রয় করেছেন আরেক মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ওসি জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করেনি। পুলিশ খতিয়ে দেখছে এসব মাছ ডাকাতির কিনা।সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/আরআইপি

Advertisement