লাইফস্টাইল

পরকীয়া ও প্রতারণায় কাদের ঝোঁক বেশি? জানালো গবেষণা

সম্পর্কে পরকীয়া ও প্রতারণা এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে! এ কারণে অনেকের দাম্পত্য জীবেনেই এসব বিষয় নিয়ে সন্দেহ, অভিমান, অভিযোগ, অশান্তি, ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকেই। যার প্রভাব পড়ে পরিবার এমনকি সন্তানদের উপরও।

Advertisement

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়া কখনো জীবনে সুখ-শান্তি বয়ে আনতে পারে না। এতে সাময়িক শান্তি মিললেও পরিবার-সমাজের কাছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক অবৈধ বলেই গণ্য হয়। তবে পরকীয়া কারা করেন? কেনই বা করেন? এসব প্রশ্নের উত্তর কিন্তু সহজ নয়।

সম্প্রতি স্পেনের করুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে ‘ডার্ক পারসোনালিটি বা অন্ধকার ব্যক্তিত্ব’ বৈশিষ্ট্যযুক্ত পুরুষদের মধ্যে প্রতারক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এসব মানুষেরা সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা ও যৌনচর্চায় লিপ্ত হন বেশি।

৩০৮ জন মানুষের উপর করা এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ১৮ থেকে ২৫। মোট অংশগ্রহণকারীর ৭৮.৩ শতাংশ ছিলেন মহিলা। পুরুষ ছিলেন শতকরা ২১.২ ভাগ।

Advertisement

গবেষক মিগুয়েল ক্লিমেন্টের নেতৃত্বে করা এই গবেষণা বলছে, ম্যাকিয়াভেলিয়ানিজম, নার্সিসিজম ও স্যাডিজম আছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে সঙ্গীর সঙ্গে প্রতরণা ও পরকীয়া করার প্রবণতা বেশি।

মনোবিজ্ঞানে নারসিসিজমকে সাধারণত আত্মরতি, নিজেকে মহান ভাবা, অহংকার ও অন্যদের প্রতি সহানুভূতির অভাব দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

মিগুয়েলের মতে, ‘অন্ধকার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যযুক্ত লোকেরা স্বল্পমেয়াদী সম্পর্কে বিশ্বাসী। এর মূল কারণ হলো তাদের সঙ্গীর কাছে প্রত্যাশা খুবই কম থাকে। শুধু নিজেদের আকাঙ্খা পূরণই হয় তাদের মূল উদ্দেশ্য।’

গবেষণার ফলাফর প্রকাশ করেছে, পুরুষরা নৈতিক বিচ্ছিন্নতা ও অন্ধকার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য উভয় ক্ষেত্রেই নারী চেয়ে এগিয়ে। অর্থাৎ পুরুষদের স্কোর এক্ষেত্রে বেশি।

Advertisement

আগের এক গবেষণায় দেখা যায়, অন্ধকার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যযুক্ত ব্যক্তিরা অসহানুভূতিশীল, কৌশলী ও হিংসাত্মক মনোভাবের হন।

তবে মনে রাখতে হবে মনোবিজ্ঞান সংক্রান্ত এসব গবেষণা কিন্তু অত্যন্ত জটিল। তাই একটি মাত্র সমীক্ষায় ভিত্তি করে কোনো মতামত তৈরি করা কারও উচিত নয়।

সূত্র: ডেইলি মেইল

জেএমএস/এমএস