সারাদেশে চলছে করোনা টিকাদান কর্মসূচি। আর এ কর্মসূচির আওতায় রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বশেষ ২৬ মার্চ পর্যন্ত ২২ কোটি ৯৭ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৮ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ গ্রহীতার সংখ্যা ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার ১২৩ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহীতার সংখ্যা নয় কোটি ৫৪ লাখ ২৪ হাজার ৩১ জন ও বুস্টার ডোজ গ্রহীতার সংখ্যা ৭৪ লাখ ৮১ হাজার ১৪৪ জন।
Advertisement
শনিবার (২৬ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শুরুর দিকে টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ও জন্মসনদের মাধ্যমে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক ছিল। পরে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নিবন্ধন ছাড়া টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
দেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি সরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না, সিনোভ্যাক ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার লাখ ৫৯ হাজার ৫৩৮ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৯ হাজার ৮৮৫ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তিন লাখ ৮১ হাজার ৩৩২ জন। এছাড়া বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৫৮ হাজার ৩২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ শনিবার পর্যন্ত সারাদেশে মোট টিকা নিয়েছেন ২২ কোটি ৯৭ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নিবন্ধন করেছেন নয় কোটি ৮২ লাখ ২৫ হাজার ৬৮০জন। তাদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন নয় কোটি দুই লাখ ৪২ হাজার ৫২২জন, পাসপোর্টের মাধ্যমে ১৫ লাখ ২৩ হাজার ১৩৯ জন ও জন্মসনদের মাধ্যমে ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ১৯ জন।
এমইউ/আরএডি/এমএস
Advertisement