দেশজুড়ে

শার্শায় সন্ত্রাসীদের হামলায় যুবলীগ নেতাসহ আহত ৭

যশোরের শার্শা উপজেলার কাঠ শিকড়া গ্রামে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলিবর্ষণ করেছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় যুবলীগ নেতাসহ সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি তাজাবোমা উদ্ধার করেছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছেন না আহতরা।  আহতরা হলেন, শার্শা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাঠ শিকড়া গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম (৩৮), তার স্ত্রী আজিমন নেছা (৩০), বোন জোসনা আক্তার (২৫), আফসার আলীর স্ত্রী সখিনা খাতুন (৫০), তার ছেলে আব্দুল খালেক (৩০), আব্দুল আজিজের ছেলে মিলন হোসেন (২৮) ও প্রতিবেশী মাহবুবুর রহমানের কাজের লোক দিনমজুর হাফিজুর রহমান (৩৫)। চিকিৎসাধীন রেজাউল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার পেট, দু’পা, দু’হাতে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়েছেন।  রেজাউল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, বুধবার রাতে নিজ বাড়িতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে গল্প করছিলেন। এসময় একই গ্রামের রফিকুল, মফিজুর, আবজেল, আমজেদ, আলমগীর, জাহাঙ্গীর, সালাম, সাদ্দাম ও জাকিরসহ ৪০/৫০ জনের একদল সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালান। তারা ৪/৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ৬/৭টি শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করে ত্রাস সৃষ্টি করেন। এরপর ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে নগদ দুই লাখ টাকা লুট এবং ধারালো রাম দা দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপালে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে অন্যরা তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরও কুপিয়ে আহত করেন। অনুরূপভাবে প্রতিবেশি জাহাঙ্গীর হোসেনের মুদির দোকান ও রাসেলের একটি পিকআপ ভাঙচুরসহ পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেন সন্ত্রাসীরা।সংবাদ পেয়ে শার্শা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি তাজা বোমা উদ্ধার করে। তখন সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান। রেজাউল ইসলাম আরও জানিয়েছেন, চাঁদাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই সন্ত্রাসীরা এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন। তিনি চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন দলের শার্শার এক চেয়ারম্যানকে দায়ী করে বলেছেন, সন্ত্রাসীরা সকলেই তার লোক। এ ব্যাপারে শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে জানান, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সন্ত্রাসীদের আটকে অভিযান চলছে। আহতদের বার বার বলার পরও তারা থানায় এখনো কোনো মামলা করেননি। বৃহস্পতিবার সকালে আমি নিজে আহত রেজাউলের বাড়ি গিয়েছি। মামলা করলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। মো. জামাল হোসেন/এমজেড/পিআর

Advertisement