দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় লোহার খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খননকাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল বাকী খান মজলিশ এ কাজের উদ্বোধন করেন।
Advertisement
ভূতাত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দাবি, নতুন খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরিকের পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশাও করছেন তারা।
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মোস্থফাপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামে রাস্তার পাশে ইছামতি নদীর ধার দিয়ে খনিটির অবস্থান চিহ্নিত করেছে ভূতাত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পরিচালক আলী আকবর জাগো নিউজকে বলেন, ‘নতুন খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরিকের পুরুত্ব অনেক বেশি। তাই লোহার সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশাও করছি আমরা। প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হয়েছে। তবে আমাদের অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
Advertisement
খনির কূপ খননকাজের দলের প্রধান হিসেবে রয়েছেন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) শহিরুল ইসসলাম।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল বাকী খান মজলিশ বলেন, ‘বাংলাদেশ খনিসমৃদ্ধ দেশ নয়। এদেশে খনিজ সম্পদের সম্ভাবনাও কম। তবে সম্ভাবনা যাই থাকুক না কেন আমরা আশাবাদী থাকবোই। আমাদের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের কাজই হচ্ছে আশা ও সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করা। তাই এখন শুধু আমাদের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। খননকাজ শেষ করে আমরা বিস্তারিত বলতে পারবো। এরআগে এখানে কী আছে বলা মুশকিল।’
এরআগে ২০২১ সালের ২ এপ্রিল দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে একটি খনির সন্ধানে ড্রিলিং (খনন) কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রায় একমাস কার্যক্রম শেষে তা সমাপ্ত করে চলে যান ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে সেখানে কিছু পাওয়া গেছে কি না তা সাধারণ মানুষ কিছুই জানতে পারেনি।
এমদাদুল হক মিলন/এসআর/এএসএম
Advertisement