যৌথভাবে দেশে বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলে মৎস্য ও সামুদ্রিক সম্পদ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারের অভিপ্রায়ে বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়ার্ল্ড ফিসের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান এবং ওয়ার্ল্ড ফিসের মহা-পরিচালক ড. নাইজেল প্রিস্টন স্ব স্ব পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন ও এমওইউ স্বাক্ষর এর অন্যতম উদ্যোক্তা প্রফেসর ড. মো. নাজমুল আহসান, ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আইয়াজ হাসান চিশতি এবং ওয়ার্ল্ড ফিসের এআইএন প্রকল্প ব্যবস্থাপক কাজী এজেডএম কুদরত-ই-কিবরিয়া এবং ওয়ার্ল্ড ফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে উপ-মহাপরিচালক প্রেট্রিক ডুগান, একোয়াকালচার এবং জেনেটিক ইমপ্রুভমেন্ট এর ডিসিপ্লিন পরিচালক মাইকেল ফিলিপস, দক্ষিণ এশীয় পরিচালক ড. কেরাইজ এ মেইসনার, কান্ট্রি সায়েন্স লিডার ড. ক্রিস্টোফার লিয়ন ব্রাউন, ইউএসএইড-এআইএন প্রজেক্টের হেড্রিক জন কিউ, পিএল ইকোফিস বিডির ড. আব্দুল ওহাব, সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. বিনয় কুমার বর্মণ, ডেপুটি চিফ অব পার্টি মো. নাসিম আলীম উপস্থিত ছিলেন।এমওইউ স্বাক্ষরের পর উপাচার্য তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি সত্ত্বেও বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এর পেছনে বর্তমান সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি কৃষি বিজ্ঞানীদের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, দেশে মাছের উৎপাদন সন্তোষজনক এবং ওয়ার্ল্ড ফিস এই চাষ সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এমওইউ স্বাক্ষরের ফলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ার্ল্ড ফিস উভয় প্রতিষ্ঠান উপকৃত হবে এবং গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের মাধ্যমে এক্ষেত্রে আরও অবদান রাখার সুযোগ সম্প্রসারিত হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি ওয়ার্ল্ড ফিসে সদ্য যোগদানের পর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সফর হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সফরের জন্য মহা-পরিচালককে ধন্যবাদ জানান। ওয়ার্ল্ড ফিসের মহা-পরিচালক তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ছে এবং তাদের জন্য সহজলভ্য প্রোটিন হিসেবে মাছের সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কিন্তু বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অনেক দেশেই মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ চমৎকার সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি গবেষণার মাধ্যমে এক্ষেত্রে আরও অবদান রাখার সুযোগ আছে এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া এ অনুষ্ঠানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ওয়ার্ল্ড ফিসের পক্ষ থেকে চিংড়ির ভাইরাস নির্ণয়ে প্রায় সাত লাখ টাকা মূল্যের পিসিআর মেশিন উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়। উপাচার্য ওয়ার্ল্ড ফিসের মহাপরিচালকের কাছ থেকে মেশিনটি গ্রহণ করে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপাচার্য মহাপরিচালক ও কান্ট্রি ডিরেক্টরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার দেন।আলমগীর হান্নান/এমজেড/পিআর
Advertisement