সোশ্যাল মিডিয়া

কলেজছাত্রী প্রীতির প্রতিপক্ষ কে ছিল?

বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপুকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় সড়কে যানজটে আটকা পড়ে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতিও (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

Advertisement

শুক্রবার (২৫ মার্চ) লেখক ও সাংবাদিক ইশতিয়াক আহমেদ এ ঘটনায় তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “২০০২ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত হয়েছিলো সাবেকুন নাহার সনি। সনির দোষ ছিলো না।

সে ছিলো ছাত্রদলের টেন্ডার বাণিজ্যের বলি। সনি হত্যার বিচার ও ছাত্রদলের নির্মমতা কম আলোচিত হয়নি দীর্ঘ সময়ে। আবারও অনেকটা একইরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর মৃত্যু নিয়ে খেলার মাঝে পড়ে মারা গেলো বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের অনার্সের ছাত্রী প্রীতি। যদিও এখানে মারা গেছে প্রতিপক্ষের টার্গেটে থাকা বৃহত্তর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম টিপু।

কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়। টিপুরও না। দুই সন্তানের পিতা তিনি। পিতৃহারা দুই সন্তানের মুখ কোনো মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব না। তবে টিপু প্রতিহিংসার শিকার, টিপুর প্রতিপক্ষ আছে। কিন্তু এই কলেজছাত্রী প্রীতির প্রতিপক্ষ কে?

Advertisement

যে নিরীহ মেয়েটা রাতে বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে বের হলো, কোনো কারণ ছাড়াই শরীরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলো। তার প্রতিপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে এই রাষ্ট্র। বিচারহীনতা, ক্ষমতার আধিপত্য, আইনের ঊর্ধ্বে চলে যাওয়ার রাজনৈতিক পরিচয় যখন বড় হয়ে যায় তখন প্রীতিদের বা আমাদের কেউ থাকে না।

রাষ্ট্র তুমি নমনীয় হও। মানবিক হও। জবাবদিহিতার কাঠগড়ায় দাঁড়াও...”

এমআরএম/জিকেএস

Advertisement