অর্থনীতি

পুঁজিবাজারকে নাচায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি পুঁজিবাজারের দায়িত্ব না নিলেও এর অনেক নীতি পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পাল। বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন ২০১৬) নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে সাংবাদিদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।বিরূপাক্ষ পাল বলেন, “পৃথিবীর কেনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পুঁজিবাজারের দায়িত্ব নেয় না। যুক্তরাষ্ট্রে পুঁজিবাজার ধসের পর যেমন তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ দায়িত্ব নেয়নি, বাংলাদেশেরও আনুরূপ। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগুলো পুঁজিবাজারকে নাচায়।”সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজার সম্পর্কিত কয়েকটি প্রদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতায় ফিরেছে বলে দাবি করেন তিনি।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, টেকসই পুঁজিবাজার উন্নয়নে মুদ্রানীতি সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নে বেশকিছু প্রদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মিউচুয়াল ফন্ডে বিপরীতে ব্যাংকের যে প্রভিশন সংরক্ষণ নীতিমালা রয়েছে তা সহজ করা হয়েছে।বিকল্প বিনিয়োগ তহবিলে ২শ’ কোটি পুঁজিবাজারের আওতার বাহিরে রাখা হয়েছে। ব্যাংকগুলো যখন হিসেব করে তখন ২শ’ কোটি হিসেবের বাইরে রাখে।এছাড়াও সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজার বিষয়ে যে সার্কুলার জারি করেছে এতে বলা হয়, আগামী ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সাবসিডিয়ারী কোম্পানিতে প্রদত্ত মূলধনের বিপরীতে ধারণকৃত ইক্যুয়িটি শেয়ার সলো ভিত্তিতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হবে না।যার ফলে আগামী জুনের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে যে এক্সপোজার নামিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে তা এই সার্কুলারের ফলে নামিয়ে আনা সম্বভ হবে। এছাড়া পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি হবে।এর আগে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিতে ব্যাংকিং খাতে সুদ হার কমিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে চলতি অর্থ বছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন ২০১৬) নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন গর্ভনর ড. আতিউর রহমান।এসআই/আরএস/পিআর

Advertisement