দেশজুড়ে

নোয়াখালীতে নেওয়ার পর ‘উদ্ভট আচরণ’ করছে সেই কিশোরী

টাঙ্গাইলে এক কিশোরীর কাছে ছুটে যাওয়া নোয়াখালীর সেই কিশোরীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পর উদ্ভট আচরণ করছে বলে জানা গেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ওই কিশোরীর বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন এ তথ্য জানান।

কিশোরীর বাবা জাগো নিউজকে বলেন, ‘মেয়েটার কী হলো জানি না। তাকে চোখে চোখে রাখতে হচ্ছে। বুধবার (২৩ মার্চ) মেয়েটা বাথরুমে ঢুকে হাত কেটে রক্তাক্ত করে ফেলেছে। ডাক্তার দেখানোর পর তাকে মানসিক ডাক্তার দেখাতে বলেছেন। মেয়েকে আমরা মানসিক ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীরা একেকজন একেক কথা বলে। সবার তো সন্তান আছে। কার ছেলেমেয়ে কী হবে কেউ জানে না। আমার মেয়েটার এমন হয়েছে তা যদি অন্য কারও হতো কী করতো? সবার পক্ষে তাদের ছেলেমেয়েকে দেখে রাখা তো সম্ভব নয়।’

Advertisement

কিশোরীর মায়ের সঙ্গেও কথা বলে জাগো নিউজ। তিনি বলেন, ‘একমাস আগেও আমাদের মেয়ে টাঙ্গাইলের ওই মেয়ের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ চলে যায়। পরে ওখানকার গ্রামবাসী খবর দিলে পুলিশের সহায়তায় আমার ছেলে তাকে নিয়ে আসে। পরে গত সোমবার (২১ মার্চ) পাশের বাড়ি থেকে ডিম কিনতে গিয়ে আবারো পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাজারের ব্যাগে করে পরনের কাপড় নিয়ে যায়। এবার আমরা বলেছি তাকে আর আনবো না। পরে চেয়ারম্যানের অনুরোধে তাকে এনেছি।’

‘বুধবার সকালে ভাত ও ওষুধ খাওয়ার পর সে ঘুমিয়ে পড়ে। দুপুরে বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে হাত কেটে রক্তাক্ত করে। পরে তাকে হাসপাতালে ডাক্তার দেখানো হয়। আজ সকাল থেকে সে স্বাভাবিক আছে। তবে তাকে মানসিক ডাক্তার দেখানোর প্রস্তুতি চলছে।’

নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি জানান। আমি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পরিবারকে জানাই। পরে তারা মেয়েটিকে নিয়ে আসে। বর্তমানে মেয়েটি তার পরিবারের সঙ্গে আছে। যেহেতু মেয়েটি পরিবারের সঙ্গে আছে, যেকোনো সুবিধা-অসুবিধা হলে তারা আমাদের জানাতে পারবেন। আমরা তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’

সোমবার টাঙ্গাইলে এক কিশোরীর কাছে চলে যায় ওই কিশোরী। মঙ্গলবার তাকে পরিবারের কাছে তুলে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে মেয়ে দুটির মধ্যে যেন আর যোগাযোগ না থাকে তা নিশ্চিত করতে দুই পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচিত হয়।

Advertisement

ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/জেআইএম