দেশজুড়ে

১৭৮ ভারতীয় জেলেকে সমুদ্রপথে পুশব্যাক আজ

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে নৌবাহিনীর হাতে আটক ১৭৮ ভারতীয় জেলেকে গভীর সমুদ্র থেকে পুশব্যাক করেছে নৌবাহিনী ও মংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা । বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর আগে মঙ্গলবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাগেরহাট কারাগার থেকে এসব ভারতীয় জেলেকে গ্রহণ করে ভারতীয় দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্ত। পরে তাদের সমুদ্র পথে ১৪টি ফিশিং ট্রলারসহ পুশব্যাক করতে ওই দিন রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বাগেরহাটের মংলা থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌবাহিনী ও মংলা কোস্টগাড সদস্যরা গভীর সমুদ্র থেকে ভারতীয় এসব জেলেদের পুশব্যাকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মংলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান।বাগেরহাট পুলিশ অফিসের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানায়, গত বছরের ২৪ আগস্ট থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় নৌবাহিনীর সদস্যরা বঙ্গোপসাগারে বাংলাদেশের জলসীমায় সুন্দরবন উপকূলের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে অবৈধভাবে মাছ আহরণকালে ১৪টি ভারতীয় ট্রলারসহ ১৭৮ জন জেলেকে আটক করে। পরে আটক জেলেদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে মংলা থানায় মামলা দায়ের করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সেই থেকেই আটক এসব ভারতীয় জেলে বাগেরহাট কারাগারে আটক ছিলো।আটক জেলেদের বিষয়ে ভারত সরকারের অনুরোধে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলা প্রত্যাহার করে পুশব্যাকের মাধ্যমে ভারত পাঠানোর নির্দেশ দেয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে ভারতীয় জেলেদের বাগেরহাট কারাগার থেকে গ্রহণ করেন ভারতীয় দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্ত। পরে তাদের সমুদ্র পথে ১৪টি ফিশিং ট্রলারসহ পুশব্যাক করতে ওই দিন রাতে বাগেরহাটের মংলা থানা পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। আটক ভারতীয় জেলেদের ১৪টি ফিশিং ট্রলার চলাচলের উপযোগী ও চর থেকে নামাতে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। বাগেরহাটের মংলা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬ টায় আটক এসব ভারতীয় জেলেদের নৌবাহিনী ও মংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা পাহারা দিয়ে বঙ্গোপসাগরের উদ্যেশে রওনা দেয়। পরে দুপুর ১২ টায় ১৪টি ফিশিং ট্রলার এফভি স্বর্ণ কোভা, এফভি ত্রিপাদি, এফবি সত্য নারায়ণ, এফভি দক্ষিণেস্বর, এফভি লক্ষ্মীনারায়ণ, এফভি প্রদীপ, এফভি দশভূজা, এফভি নয়ন, এফভি মা সন্ধ্যা, এফভি লক্ষ্মী নারায়ণ-২, এফভি মা-মঙ্গল চন্ডি-১৪, এফভি মা-মঙ্গল চন্ডি-১৩, এফভি কাঞ্চন কামিনি ও এফভি প্রসেনজিৎ এ করে এসব জেলেকে গভীর সমুদ্র থেকে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা ভারতের জলসীমায় পুশব্যাক করে। এরপর ভারতের নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড সদস্যরা দুপুরে পুশব্যাক কারা জেলেদের গ্রহণ করে নিয়ে যায়। পুশব্যাক করা এসব ভারতীয় জেলেদের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।শওকত আলী বাবু্/এসএস/পিআর

Advertisement