খেলাধুলা

বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘আউট হওয়ার ভয়’ নিয়ে নেমেছে প্রোটিয়ারা

বাংলাদেশে খেলতে এসে ২০১৫ সালেই ওয়ানডে সিরিজ হেরে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে নিজেদের ঘরের মাঠে খেলা তিন সিরিজে একটি ম্যাচও হারেনি তারা। সব ইতিহাস এবার বদলে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদেরকে তাদের মাটিতেই ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে তামিম ইকবালের দল।

Advertisement

প্রোটিয়া হেড কোচ মার্ক বাউচারের মতে, ব্যর্থতার ভয়েই ব্যর্থ হয়েছে তার দল। সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে ব্যর্থতার ভয় শব্দযুগল বেশ কয়েকবার উচ্চারণ করেন বাউচার। পাশাপাশি আউট হওয়ার ভয় নিয়ে মাঠে নামায় রান আসেনি বলে তার মূল্যায়ন।

বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে ৩৭ ওভারে মাত্র ১৫৪ রানের অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ কুইন্টন ডি কক ও জানেমান মালানের ব্যাটে শুরুটা বেশ ভালো ছিল তাদের। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে আসে ১ উইকেটে ৫৭ রান। পরে একপর্যায়ে মাত্র ১৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় তারা।

সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টেম্বা বাভুমার দল। মাত্র ১৫৪ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ মূলত সেখানেই হেরে যায় প্রোটিয়ারা। পরে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ১২৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে সহজ জয় তুলে নেয় টাইগাররা, গড়ে সিরিজ জয়ের ইতিহাস।

Advertisement

নিজেদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করে ম্যাচ শেষে বাউচার বলেছেন, ‘আমাদের আজকে ইন্টেন্টে ঘাটতি ছিল। আমরা ভালো একটা শুরুর পর যেন খোলসবন্দী হয়ে পড়ি। নিশ্চিতভাবেই আমরা এমন খেলতে চাই না। ভালো শুরু পাওয়ার পর আমরা খেলা আরও এগিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সেটি করতে পারিনি।’

আউট হওয়ার ভয় নিয়ে মাঠে নামার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মতে আমরা ভালো বোলিং করেছি। কিন্তু রান তোলার সুযোগ তৈরি করতে কখনও কখনও ঝুঁকি নিতে হয়। অথচ বিষয়টা এমন মনে হয়েছে যেন, আমরা আউট হওয়ার ভয় নিয়ে মাঠে নেমেছি, একটা সংগ্রহ দাঁড় করানোর ভাবনার বদলে। উইকেট ৩০০+ রানের ছিল।’

স্পিনের বিপক্ষে সাবলীল খেলতে না পারার বিষয়টিও তুলে ধরেন বাউচার। যদিও তাসকিন একাই ৫ উইকেট নিয়ে ধসিয়েছেন, তবে শেষ ম্যাচসহ পুরো সিরিজে কার্যকরী অবদান রেখেছেন দুই স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান। তাই স্পিন নিয়েও আলাদা কথা বলেন বাউচার।

তার ভাষ্য, ‘আমার মতে, ওয়ানডে দলের বিশ্বাসটা আনতে হবে আমরা কীভাবে খেলতে চাই। আমরা শ্রীলঙ্কায় স্পিন ভালো খেলেছি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরার পর যেখানে কন্ডিশন স্পিনারদের সাহায্য করেছে, সেখানে আমরা সেই আগের ধারায় ফিরে গেছি। আমাদের মধ্যে এখনও কথা হচ্ছে, টার্নিং কন্ডিশন স্পিন খেলার ব্যাপারে।’

Advertisement

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের দেশে এটি প্রায় ভারতের মতো কন্ডিশন ছিল। আমরা ছেলেদের আরও প্রো-এক্টিভ চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ তারা সেটি করতে পারেনি। আমরা আমাদের শট সিলেকশন নিয়ে কাজ করছি। ছেলেরা জানে ওদের সেই সামর্থ্য আছে। কিন্তু বিষয়টা বুঝতে পারা এক জিনিস এবং বাস্তবায়ন করা আরেক জিনিস।’

‘আমার মনে হয়, ছেলেদের মধ্যে ছোট একটি ব্লক রয়েছে এবং খেলায় যে রান করাই মূল তার বদলে আউট হওয়ার ভয়টা কাজ করছে।’

এসএএস/এএসএম