ক্যাম্পাস

ইবিতে কর্মবিরতি অব্যাহত, হতাশ শিক্ষার্থীরা

চতুর্থ দিনের মতো লাগাতার কর্মবিরতি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বছরের শুরুতেই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছে ১২ হাজার শিক্ষার্থী। এমনিতেই প্রতিটি বিভাগে রয়েছে সেশনজট তার উপর শিক্ষকদের এই লাগাতার কর্মবিরতি শিক্ষার্থীদের জন্য যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।  ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত পূর্ব নিবর্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইবি শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে শিক্ষকরা চতুর্থ দিনের মতো বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি পালন করেছেন। এছাড়াও গত ৭ জানুয়ারি একই দাবিতে তারা কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে। কবে শেষ হবে শিক্ষকদের এই আন্দোলন তারও কোনো সঠিক তথ্য নেই শিক্ষক নেতাদের কাছে। যার ফলে হতাশ হয়ে পড়েছে সেশনজটের যাতাকলে পিষ্ট ইবির ১২ হাজার শিক্ষার্থী।শীতের ছুটি শেষে ক্যাম্পাস খুলেছে গত ৬ জানুয়ারি।  কিন্তু ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে মাত্র তিনদিন। বছরের শুরুতে নতুন উদ্যমে ক্লাস-পরীক্ষার আশা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসলেও সে গুড়ে বালি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টি বিভাগের নতুন তিনটি বিভাগ ছাড়া বাকি ২২টি বিভাগের প্রত্যেকটিতে রয়েছে ৬ মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত সেশনজট। শিক্ষকদের এই আন্দোলন সেশনজটকে আরো বাড়িয়ে তোলার শঙ্কা জেকে বসেছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। এ বিষয়ে চার বছর সেশনজটে থাকা আল ফিকহ বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের হুমায়ুন আহমেদ সম্রাট জাগো নিউজকে বলেন,`অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার বন্ধুরা অনেক আগেই মাস্টার্স শেষ করে চাকরি করছে। এমনিতেই সেশনজটে চাপা পড়েছি। এখন শঙ্কায় রয়েছি শিক্ষকদের কর্মবিরতি সেশনজটকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।`এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অলী উল্যাহ জাগো নিউজকে বলেন, `আমাদের আন্দোলন শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে। শিক্ষকদের মর্যাদাই শিক্ষার্থীদের মর্যাদা। আমি মনে করি শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে আছে। এছাড়া আশা করছি দ্রুত এ বিষয়টির সমাধান হবে। তখন আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো এবং শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।`এসএস/পিআর

Advertisement