জাতীয়

স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ

মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগকে ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।’

পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশোধিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার বিষয়টি জানানো হয়।

এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২’ এ মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

Advertisement

মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আধুনিক বাংলার রূপকার, আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে উন্নত সমৃদ্ধ পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দুর্গম পাহাড় থেকে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল সব জায়গাতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। শতভাগ বিদ্যুতায়নের এ অনন্য মাইল ফলক অর্জনের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ ২০২২ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার অর্জন করলো। এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। একইসঙ্গে ধন্যবাদ জানাই বিদ্যুৎ বিভাগ ও এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার সব সহকর্মীকে, যারা এ অসাধ্যকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।’

এর আগে সমালোচনার মুখে গত ১৮ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকার ‘সাহিত্য’ ক্যাটাগরি থেকে মরহুম মো. আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সংশোধিত তালিকায় ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ‘বিদ্যুৎ বিভাগ।’

গত ১৫ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ‘সাহিত্য’ ক্ষেত্রে মরহুম আমির হামজাকে রাষ্ট্রীয় এ সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।

Advertisement

তালিকা ঘোষণার পরই আমির হামজাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। খ্যাতিমান লেখক-কবি-সাহিত্যিকদের বাইরে একেবারে অচেনা আমির হামজার সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কার পাওয়া নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়ে উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ৮৭ বছর বয়সে আমির হামজা মারা যান। বলা হচ্ছে, আমির হামজা একজন মরমী গায়ক, গান লিখেছেন। তার তিনটি বই প্রকাশিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে মাগুরার শ্রীপুরের সারথি ফাউন্ডেশন থেকে ‘বাঘের থাবা’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। পরে ২০১৯ সালে এই বইয়েরই গান অংশ নিয়ে বের হয় আরেকটি বই, ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’। এছাড়া ‘একুশের পাঁচালি’ নামেও তার একটি বই প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

মূলত সরকারের উপসচিব মো. আসাদুজ্জামান তার সাহিত্যিক বাবার নাম স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করেন। এতে সমর্থন দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

একইসঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, প্রয়াত আমির হামজা মো. শাহাদাত হোসেন ফকির নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। ১৯৭৮ সালের ঘটনা এটি। গরুর ক্ষেতের ফসল খাওয়ার ঘটনা নিয়ে খুনের এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আমির হামজা ও তার ভাইসহ মোট ৬ জনের কারাদণ্ড হয়। আট বছর জেল খাটার পর ১৯৯১ সালের মাগুরার এক মন্ত্রীর সহায়তায় বেরিয়ে আসেন আমির হামজা।

এসইউজে/আরএমএম/জেএইচ/এএএইচ/জিকেএস