স্বাস্থ্য

করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্তের হার ১.২৭ শতাংশ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১১৮ জনে।

Advertisement

একই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৩৪ জন। এনিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৯৮০ জনে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ।

একদিনে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৯২১ জন রোগী। এনিয়ে দেশে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন মোট ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৬৬ জন।

বুধবার (২৩ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

আগের দিন মঙ্গলবার (২২ মার্চ) ১২১ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে দৈনিক শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ১১ শতাংশ। তবে এদিন করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি

এর আগে গত ১৫ মার্চ ৯৬ দিন পর করোনায় মৃত্যুশূন্য ছিল দেশ। এরপর ১৬ ও ১৭ মার্চও কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে ১৮ মার্চ দুজনের মৃত্যু হয়। ওইদিন ১০৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শনাক্তের হার ছিল ১ দশমিক ১৬ শতাংশ।

এর পরদিন ১৯ মার্চ আবারও করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন দেখে বাংলাদেশ। এদিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও একশ’র নিচে নামে। তবে ২০ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তিনজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। এদিন শনাক্ত হয় নতুন ৮২ জন রোগী। এরপর ২১ মার্চ দেশে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।

এদিকে, বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৭৮টি ল্যাবরেটরিতে ১০ হাজার ৫৭১টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১০ হাজার ৫২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার ৬০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

Advertisement

এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন ৯১ লাখ ৩১ হাজার ৪১৫ জন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৬ লাখ ১৯ হাজার ১৮৯ জন নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

এমইউ/কেএসআর/এএসএম