বিনোদন

দেশের সিনেমা দেখে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী

বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ হয়েছে আগেই। বুধবার (২৩ মার্চ) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দেওয়া হচ্ছে। বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। এজন্য অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিল্পীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

এরপর একে একে শিল্পীরা মঞ্চে আসেন তাদের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করতে। এক ফাঁকে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি সিনেমা নিয়ে তার ভালো লাগার কথা জানান।

নিজেকে সিনেমাপ্রেমী আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো সিনেমা হলে যেতে পারি না। কিন্তু প্লেনে যখন দেশের বাইরে যাই তখন দেশি সিনেমা দেখি। প্রোডাকশনগুলো খুব ভালো লাগে। আবার কেউ যদি পেনড্রাইভে ছবি পাঠান সেটাও দেখি। ভালোই লাগে সিনেমা দেখতে। আমাদের দেশে সুপ্তপ্রতিভা আছে। তাদের কাজ দেখে মুগ্ধ হই।’

Advertisement

এসময় অসহায় শিল্পীদের জন্য কল্যাণ তহবিল নিয়েও কথা বলেন তিনি। ‘শিল্পী-কলাকুশলীদের জন্য একটা ট্রাস্ট করে দিয়েছি। যারা বিত্তবান তারা এই ফান্ডে সাহায্য করবেন। আমি আহ্বান জানাচ্ছি’- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুপুর ১২টার দিকে শুরু হয় পুরস্কার প্রদান। অভিনেত্রী আনোয়ারার হাতে আজীবন সম্মাননা তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য নিজে উপস্থিত হতে পারেননি আনোয়ারা। তার হয়ে আজকের আয়োজনের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাত থেকে পুরস্কার নেন আনোয়ারার মেয়ে মুক্তি।

আনোয়ারাকে মঞ্চে না দেখে কারণ জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। অভিনেত্রী অসুস্থ জানতে পেরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আনোয়ারা আসতে পারেননি। আমি জানতাম না যে আনোয়ারা অসুস্থ। শুনে খুব দুঃখ পেলাম। তার রোগমুক্তি কামনা করি।’

এসময় কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারার যে কোনো সহযোগিতায় পাশে থাকার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

এলএ/এমএস