দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রি বা ওএমএসের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। ফলে চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আরও পাঁচ লাখ টন চাল-গম বরাদ্দ চেয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
Advertisement
এর মধ্যে তিন লাখ টন চাল ও দুই লাখ টন আটা চাওয়া হয়। গত রোববার (২০ মার্চ) এ বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওএমএস খাতে চালের বরাদ্দ রয়েছে চার লাখ ৭০ হাজার টন, আর গমের বরাদ্দ চার লাখ ৬৪ হাজার টন। ওএমএস কর্মসূচিতে গত ১৫ মার্চ পর্যন্ত তিন লাখ ৭০ হাজার টন চাল এবং তিন লাখ ২৫ হাজার টন গম বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে এক লাখ টন চাল এবং এক লাখ ৩৯ হাজার টন গমের মজুত রয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, আসন্ন রমজান মাসে চালের দামের ঊর্ধ্বগতির সম্ভাবনা বিবেচনায় নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা দেওয়াসহ খাদ্যশস্যের দাম সহনীয় রাখতে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব সিটি করপোরেশনে ৬৫টি নতুন ট্রাকসেল চালু করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অনুমোদিত ওএমএস কেন্দ্রের (দোকান/ট্রাকসেল) মোট সংখ্যা দাঁড়ায় দুই হাজার ১৩টি।
Advertisement
এক্ষেত্রে ওএমএস কার্যক্রম চলমান রাখতে দৈনিক দুই হাজার ৬৩০ টন চাল এবং দুই হাজার ৮৯০ টন গম প্রয়োজন বলে জানায় খাদ্য মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, চলতি অর্থবছরে সরকারি ছুটি ছাড়া মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাসে মোট ৮৬ দিনে ওএমএস কার্যক্রমে প্রয়োজন হবে দুই লাখ ২৬ হাজার টন চাল এবং দুই লাখ ৪৮ হাজার টন গম। এই পরিমাণ চাল-গম বিক্রিসহ বর্তমান মজুতের সঙ্গে আরও অতিরিক্ত এক লাখ ২৬ হাজার টন চাল এবং এক লাখ ৯ হাজার টন গম মজুত রাখতে হবে।
এ অবস্থায়, জরুরি প্রয়োজন এবং ওএমএস কেন্দ্র বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উল্লেখিত পরিমাণ চাল-গম বরাদ্দ দেওয়ার জন্য চিঠি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।
আরএমএম/জেডএইচ/জিকেএস
Advertisement