দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য কবুতরের খামার গড়ে উঠেছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায়। কবুতর খামার লাভজনক হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কবুতর খামার ব্যবসা। শহরের সুলতানপুরের বাসিন্দা মো. আজমল গত এক দশক ধরে করছেন বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খামার।তবে কবুতর পালন বেশি লাভজনক বলে তিনি জাগো নিউজকে জানান। বর্তমানে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু করেছেন কবুতরের খামার। তিনি বলেন, তার খামারে দেশি-বিদেশি প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর রয়েছে।এর মধ্যে আমেরিকার কমলা কিং, সাদা কিং, জার্মানির পুটারবল, পাকিস্থানের জগাবিন ও ভারতের সিলভার সিরাজী, লক্ষা, পারভীন নোটন উল্লেখযোগ্য। এসব কবুতরের দামও বেশি।আজমল হোসেন আরও বলেন, প্রতি জোড়া জগাবিন কবুতর ১৮-২০ হাজার টাকা, কমলা কিং ৭ হাজার টাকা, সাদা কিং ৮ হাজার, পুটারবল ৫ হাজার, সিলভার সিরাজী ৬ হাজার টাকা, লক্ষা ৫ হাজার ও পারভীন ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন। দূর-দূরান্ত থেকে সৌখিন কবুতর পালনকারীরা তার খামার থেকে এসব মূল্যবান কবুতর কিনে নিয়ে যান। প্রতি মাসে তিনি ৩৫-৪০ হাজার টাকা লাভ করছেন।সাতক্ষীরা শহরের রাধানগর এলাকার কলেজছাত্র সাব্বির হোসেন পড়ালেখার পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন কবুতর খামার। সাব্বির জানান, কবুতর পালন করে প্রতি মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করছেন। এতে তার লেখাপড়াসহ নিজের খরচ মিটছে।জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডা. শশাংক কুমার মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, কবুতর পালন লাভজনক। অনেক শিক্ষিত বেকার ছেলে-মেয়েরা বাড়িতে ছোটখাটো খামার করে কবুতর পালন করে আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছে। মাংসও খুব পুষ্টিকর। সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪-৫শ কবুতরের খামার রয়েছে।বিএ
Advertisement