চিকিৎসকদের লাঞ্ছিতকারীরা ক্ষমা প্রার্থণা করায় বুধবার সন্ধ্যায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবীশ চিকিৎসকেরা। বিকেলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সন্মেলন কক্ষে পাবনা মেডিকেল কলেজ, পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবর্গ শিক্ষানবীশ চিকিৎসক এবং তাদেরকে লাঞ্ছিতকারী হিসেবে অভিযুক্ত রেজাউল হোসেন (৫০) এবং তার ছেলে চয়নকে (২৩) নিয়ে বৈঠকে বসে। বৈঠকে লাঞ্ছিতকারীরা শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে দোষ স্বীকার করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবর্গের অনুরোধে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয় শিক্ষানবীশ চিকিৎসকেরা। বৈঠকে অংশ নেন পাবনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. রিয়াজুল ইসলাম রেজা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মোশারোফ হোসেন, পাবনা সদর থানা পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ আল হাসানসহ আওয়ামী লীগ নেতা এবং চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ। বিকেল ৪টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত বৈঠক চলে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কুমার বসাক জাগো নিউজকে বৈঠকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষানবীশ চিকিৎসকেরা আজ রাত থেকেই কাজে যোগ দেবেন। পাবনা থানা পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ আল হাসান জাগো নিউজকে জানান, গত রোববার রাতে পাবনা শহরের পৈলানপুর মহল্লার ৮০ বছরের বৃদ্ধ হেনা বিবি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। গভীররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনরা চিকিৎসকের দায়িত্ব, কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ এনে শিক্ষানবীশ চিকিৎসকদের লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার সকাল থেকে নিরাপদ কর্মস্থল, লাঞ্ছিতকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির পাশাপাশি বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।একে জামান/এমএএস/আরআইপি
Advertisement