উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষকে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে চীন। রোববার এই নির্দেশনা জারি করা হয়। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে দেশটি। শুরু থেকেই কোভিড জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে তারা।
Advertisement
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। তারপর থেকেই দেশটি তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং গণহারে বিভিন্ন শহরের বাসিন্দাদের করোনা টেস্ট শুরু করে।
করোনার প্রাদুর্ভাব মোটামুটি ভালোভাবেই সামাল দিতে পেরেছিল চীন। কিন্তু করোনার অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর থেকেই পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হতে শুরু করে। বেশ কিছু শহরে ওমিক্রনের কারণে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
জিলিন প্রদেশের বৃহত্তম শহর জিলিনের ৪৫ লাখ মানুষের ওপর তিনদিনের জন্য লকডাউন জারি করা হয়েছে। সোমবার রাত থেকে লকডাউন কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
এদিকে রোববার চীনে নতুন করে চার হাজার কেস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুই তৃতীয়াংশই জিলিন প্রদেশে। ওই শহরটি রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে অবস্থিত।
প্রাদেশিক রাজধানী চ্যাংচুনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারাও আগামী তিনদিনের জন্য বিধিনিষেধ আরও কঠোর করছে। গত ১১ মার্চ থেকে ওই শহরের ৯০ লাখ মানুষ প্রতি দুইদিন পর একবার খাবার কেনার জন্য বাড়ির বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন।
তবে নতুন বিধিনিষেধের কারণে শুধু মেডিকেল কর্মী এবং অন্যান্য জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মীরাই বাড়ির বাইরে বের হওয়ার অনুমতি পাবেন।
শনিবার চীনে নতুন করে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এক বছরের বেশি সময় পর এমন ঘটনা ঘটল। সে কারণেই বিভিন্ন শহরে কড়াকড়ি আরও বাড়ানো হয়েছে। চীনের বেশিরভাগ শহরেই এখন কড়াকড়ি জারি রয়েছে। এদিকে জিলিন প্রদেশে অস্থায়ী ৮টি হাসপাতাল এবং দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/এমএস