ক্যাম্পাস

ফের সেশনজটের শঙ্কায় শাবি শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য ঘোষিত অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোতে অর্থমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণ এবং অসঙ্গতি দূরীকরণের দাবিতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষকরাও অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। গত বছর শুরু হওয়া শিক্ষকদের এ আন্দোলন প্রথম দিকে অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন,স্মারকলিপির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও দাবি না মানায় এখন চলছে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গত ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি অনির্দিষ্টকাল ধরে চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। ফলে গত তিনি দিন ধরে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় আবারও সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এর আগে রাজনৈতিক সংঘাত, ছাত্র সংগঠনগুলোর সংঘর্ষের কারণে বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছিল। এসব কারণে শিক্ষার্থীদের ছয় মাসেরও বেশি সময় সেশনজটে পড়তে হয়েছে। এই মুহূর্তে সরকারকে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষার্থীরা।সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কারণে ক্যাম্পাস দীর্ঘ বন্ধ ছিল। ২০১৫ সালের মধ্যে স্নাতক শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন আমাদের চতুর্থ বর্ষের ক্লাস চলছে। জানিনা কবে স্নাতক শেষ হবে।ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের স্নাতক শেষ হয়েছে। বার বার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদেরই ক্ষতি হচ্ছে। সরকারকে শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান এই শিক্ষার্থী।এদিকে, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন কর্মসূচিতে শুরুতেই হোচট খেলেন নতুন ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা (২০১৫-১৬)। গত রোববার তাদের ওরিয়েন্টশন অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত প্রতিবছর ওরিয়েন্টেশনের পরের দিন থেকে এই নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হতো। শিক্ষকদের আন্দোলনে ক্লাস বন্ধ থাকায় হতাশ হয়েছেন অনেক নবীন শিক্ষার্থী।বাংলা বিভাগে ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থী আখতারুজ্জামান রনি জাগো নিউজকে বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু শুরুতে ক্যাম্পাসের এই সার্বিক অবস্থা দেখে আমরা হতাশ। এ বিষয়ে শাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুল গনি জাগো নিউজকে বলেন, কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার আগে আমরা সরকারকে আটমাস সময় দিয়েছি। বেতন ভাতা নিয়ে আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই, আমাদের একটা মর্যাদা ছিল, সেটা নামিয়ে দেয়া হয়েছে। শিক্ষকদের মর্যাদা ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার কথা বলেন তিনি। কর্মবিরতিতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি বলেন, আমরা চাই শীঘ্রই ক্লাসে ফিরে যেতে। এজন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।আব্দুল্লাহ আল মনসুর/এমজেড/আরআইপি

Advertisement