দেশজুড়ে

স্মৃতির মরদেহ মিললেও খোঁজ নেই ছোট্ট আরোহীর

স্মৃতি রাণী বর্মণ (২০) ও আরোহী রাণী বর্মণ (৩)। দুই বোন মিলে খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। প্রায় সময়ই তারা বেড়াতে যেতেন। কিন্তু এদিনই তাদের শেষ যাওয়া হবে সেটা জানা ছিল না।

Advertisement

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ইস্পাহানি চর নিজ বাড়িতে ফেরার পথে শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবিতে তারা নিখোঁজ হন। পরে একজনের মরদেহ উদ্ধার হলেও আরোহী রাণী বর্মণ এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর আল আমিন নগর এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়ার ঘটনায় সে নিখোঁজ হয়। সোমবার (২১ মার্চ) ভোর ৫টায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার হলেও ভেতরে কোনো মরদেহ পাননি স্বজনরা।

আরোহীর খালু রিপন বর্মণ বলেন, প্রায় সময়ই বন্দরের একরামপুর এলাকায় আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসত তারা। কয়দিন বেড়ানোর পর আবার নিজেরাই চলে যেত। আমাদের বাড়ি থেকে রোববার দুপুরে যাওয়ার পর বিকেলে খবর নিয়ে দেখি তারা বাড়িতে পৌঁছায়নি। পরে সংবাদ পাই শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি হয়েছে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ছবি দেখালে স্মৃতির খোঁজ পাই। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। আরোহী এখনও নিখোঁজ রয়েছে। জানি না সে কোথায় আছে।

Advertisement

তিনি আরো বলেন, আমরা মরদেহ হলেও ফেরত চাই। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি যেন মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। যেন তাদের মা বাবাকে সান্ত্বনা দিতে পারি।

এর আগে রোববার দুপুরে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় নারায়ণগঞ্জ টু মুন্সীগঞ্জগামী আফসার উদ্দিন নামে লঞ্চটি ডুবে যায়। এই লঞ্চডুবির ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম ভি আফসার উদ্দিন নামে মুন্সীগঞ্জগামী একটি লঞ্চ যাওয়ার সময় এমভি রূপসী-৯ নামের কার্গো ধাক্কা দেয়। কার্গোটি ওই লঞ্চকে ঠেলে অনেক দূর নিয়ে যায়। এতে ওই লঞ্চটি মুহূর্তেই ডুবে যায়।

মোবাশ্বির শ্রাবণ/এফএ/জেআইএম

Advertisement