সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্যাট হাতে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটার আফিফ হোসেন ধ্রুব। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ কিংবা চলতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলের সেরা ব্যাটিং করেছেন আফিফ।
Advertisement
জাতীয় দলে আসার আগে সাধারণত টপঅর্ডার হিসেবে ব্যাটিং করলেও, টিম কম্বিনেশনের কারণে বাংলাদেশের হয়ে ওপরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান না আফিফ। এখন ধারাবাহিকতা দেখানোয় প্রশ্ন উঠছে, আফিফকে ওপরে খেলানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না বাংলাদেশ দলের।
বিশেষ করে ছয় নম্বরে খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ গত বছরের শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে শুরু করে ১১ ওয়ানডেতে মাত্র ৭০ স্ট্রাইকরেট ও ৩৩ গড়েছেন ৩০০ রান। যা একজন ছয় নম্বর ব্যাটারের জন্য মোটেও সন্তোষজনক পরিসংখ্যান নয়।
তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তার ব্যাটিং পজিশন কিংবা একাদশে থাকা নিয়েও। কেননা সাম্প্রতিক সময়ে ফিল্ডিংয়েও জবুথবু হয়ে থাকতে দেখা যায় মাহমুদউল্লাহকে। শুধু তাই নয়, তার হাত থেকে ছুটে যায় সহজ ক্যাচও। গত ১১ ওয়ানডেতেই যেমন চারটি ক্যাচ ছেড়েছেন তিনি।
Advertisement
তবু বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালের চোখে ওয়ানডে দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ মাহমুদউল্লাহ। তাই নিকট অতীতে খুব একটা ভালো করতে না পারলেও, দলে তার জায়গা কিংবা ব্যাটিং পজিশন নিয়ে কিছুই ভাবতে রাজি নন টাইগার অধিনায়ক।
রোববার রাতে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আফিফ ও রিয়াদের ব্যাটিং পজিশন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তামিম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় রিয়াদ ভাই আমাদের ওয়ানডে দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে (অধিনায়ক হিসেবে) আমার জন্য।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আফিফ দেখেন ৭ নম্বরে সত্যিই ভালো ব্যাটিং করে। আমি যদি এখন আফিফকে ছয়ে নিয়ে আসি, তাহলে সাতের জন্য আবার আরেকজন ব্যাটার খুঁজতে হবে। তখন কথা হবে যে সাত নম্বরে কে খেলবে? গত ৬ মাস বা ১ বছর আগে আমরা বলতাম, আমাদের ৬ ও ৭ নম্বরে ব্যাটার লাগবে যে নিচে নেমে ফিনিশ করে আসবে।’
এ কাজে আফিফই যথাযথ জানিয়ে তামিম আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় আফিফই ঠিক আছে। ও যেমন ব্যাটিং করে ওখানে ২-৪টা ম্যাচে খারাপ করতেই পারে। যেদিন ও ভালো খেলবে ঐদিন আমরা ভালো অবস্থায় চলে যাবো। এটাই ওর কোয়ালিটি, আমি সবসময় বলব ও তার পজিশনে সবসময় ভালো করছে।’
Advertisement
এসএএস/জিকেএস