সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু ঢাকায় নয়, জেলা পর্যায়েও হতে পারে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে সোমবার (২১ মার্চ) বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
Advertisement
জানতে চাইলে রোববার (২০ মার্চ) রাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব রহমান তুহিন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা জেলা পর্যায়ের আয়োজনের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সোমবার একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে এ ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা জেলা পর্যায়ে হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু ঢাকায় নয়, জেলা পর্যায়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি সোমবারের মিটিংয়ে আলাপ-আলোচনা করা হবে।’
Advertisement
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সই করা পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচন সংক্রান্ত চিঠিতে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর কথা বলা হয়েছিল।
চিঠিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ-২০২০-এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮, ১৫ ও ২২ এপ্রিল এবং ১৩ মে বিকেল ৩টায় গ্রহণের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। উল্লেখিত তারিখে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।
এর আগে গত ১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় এপ্রিলে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদশূন্য হয়ে পড়েছে।
Advertisement
ফলে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমএইচএম/এএএইচ