বিনোদন

সেই গেট দিয়েই শ্রদ্ধা নিয়ে বেরিয়ে গেলেন আজিজুর রহমান

দীর্ঘদিন এখানেই কাটিয়েছেন। লাইট, ক্যামেরা, একশান বলে হাঁক ছেড়েছেন। তৈরি করেছেন অনেক কালজয়ী সিনেমা। সেই এফডিসি থেকে অশ্রুভেজা ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় নিলেন ছুটির ঘণ্টা'খ্যাত নির্মাতা আজিজুর রহমান।

Advertisement

আজিজুর রহমান যখন জীবনের প্রথম এফডিসি প্রবেশ করেন তখন গেট ছিলো ট্রাক স্ট্যান্ডের দিকে। এরশাদ আমলে গেট পরিবর্তন হয়ে হাতিরঝিলের বিপরীত পাশে আনা হয়। বর্তমানে এফডিসিতে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য এফডিসিতে প্রবেশ পথ আবার সেই পুরনো গেটে করা হয়েছে। যে গেট দিয়ে এফডিসিতে প্রবেশ করেছিলেন সেই গেট দিয়েই আজ এফডিসি থেকে চিরদিনের মতো বেরিয়ে গেলেন আজিজুর রহমান। সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন প্রিয়জনদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা।

গেল ১৫ মার্চ কানাডার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি। আজ ২০ মার্চ দেশে এসেছে তার মরদেহ।

মাগরিবের পর এফডিসিতে নিয়ে আসা হয় তার মরদেহ। এখানে বাদ এশা অনুষ্ঠিত হয় তার জানাজা।

Advertisement

জানাজার আগে আজিজুর রহমানের পুত্র বাবার হয়ে সবার কাছে ক্ষমা চান। দেনা পাওনা নিয়ে আনুষ্ঠানিকতা সারেন। এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন আজিজুর রহমানের স্ত্রী ও কন্যাও।

জানাজা শেষে চলচ্চিত্রের নানা সংগঠন থেকে আজিজুর রহমানকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। গুণি এই নির্মাতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ এসেছিলেন নবীন-প্রবীন অনেক নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও আজিজুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

নির্মাতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেল, এফডিসি থেকে আজিজুর রহমানের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ধানমন্ডিতে তার বাসভবনে। সেখান থেকে আগামীকাল সকালে হেলিকপ্টারে তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সান্তাহারে।

Advertisement

সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে, তার নির্ধারণ করে রাখা কবরে তাকে দাফন করা হবে। এটি তার মায়ের কবর। মায়ের কোলেই শেষ শয্যা যাওয়ার ইচ্ছে রেখে গেছেন তিনি।

এমআই/এলএ/জিকেএস