তাফসির আহমেদ মুন্না। প্রতিদিনের মতো সৈয়দপুরের আলামিন নগরের ব্রিজের কাছে জাহাজের কাজ করছিলেন। ঠিক দুপুরের দিকে তার চোখের সামনে জাহাজের ধাক্কায় আশরাফ উদ্দিন নামে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। লঞ্চ ডুবে যেতে দেখে তিনি নিজে ট্রলার নিয়ে সাতজনকে উদ্ধার করেন।
Advertisement
তাফসির আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘লঞ্চটি যখন ডুবে যাচ্ছিল তখন আমরা চিৎকার করছিলাম যাতে করে জাহাজের মাস্টার আমাদের দিকে তাকান এবং জাহাজটি থামানোর চেষ্টা করেন। তখন যদি জাহাজটি থামাতো তাহলে এতজনের মৃত্যু হতো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ট্রলার নিয়ে সাতজনকে উদ্ধার করলেও ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। আমি চেষ্টা করেছিলাম আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করার। কিন্তু আর পারিনি।’
বারবার জাহাজের মাস্টারদের অবহেলার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান এ তরুণ।
Advertisement
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চর সৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় এমএল আশরাফ উদ্দিন নামে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তবে লঞ্চে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা জানা যায়নি।
মরদেহ উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে পুলিশ, কোস্টগার্ড, ডুবুরি দলসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন।
এদিকে লঞ্চে ধাক্কা দেওয়া এমভি রূপসী-৯ নামে জাহাজটি আটক করা হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া হোসেন্দী সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে জাহাজটি আটক করে গজারিয়া কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশ। রাশেদুল ইসলাম রাজু/এসআর/জিকেএস
Advertisement