রাশিয়ার তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ইউক্রেনে পাঠাতে তুরস্ককে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অনানুষ্ঠানিকভাবে আঙ্কারাকে এ কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রসাশন। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানে হয়।
Advertisement
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে তুরস্কের হাতে যখন এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম চালান আসে, তখন থেকে ওয়াশিংটন এই রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে তুরস্ককে সরে যাওয়া অনুরোধ করে আসছে। তুরস্ক তা না মানায় দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞা দেয়। পাশাপাশি ন্যাটো সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তুরস্ককে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরির যৌথ কর্মসূচি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এখন তুরস্কের কাছে থাকা এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায় কি না, সেই সম্ভাবনা অনানুষ্ঠানিকভাবে সামনে আনছে বাইডেন প্রশাসন।
জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যানের তুরস্ক সফরের সময় এ বিষয়টি সামনে আনা হয়। তুরস্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় শেরম্যান ইউক্রেনের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা কীভাবে কাজ করতে পারে ও ওয়াশিংটন-আঙ্কারার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কীভাবে উন্নত করা যায়, সেসব বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে এস-৪০০ ব্যবস্থা ইউক্রেনে ব্যবহারের বিষয়ে তুর্কি কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।
Advertisement
গত ৫ মার্চ শেরম্যান বলেন, এটা সবাই জানেন যে, তুরস্কের সঙ্গে এস-৪০০ নিয়ে আমেরিকার মতবিরোধ রয়েছে। তবে এ সমস্যা সমাধানে নতুন পথ বের করা যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
ফেলাডেলফিয়ার পররাষ্ট্রনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যারন স্টেইন বলেন, তুরস্ক যেনো ধারালো ছুরির ওপর দিয়ে হাঁটছে। যদি এস-৪০০ ইউক্রেনে পাঠানো হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে তারা মস্কোর রোষানলে পড়বে।
তিনি জানান, এরদোগানের কাছে রাশিয়ার এস-৪০০ তুরস্কের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই এটি হস্তান্তর আঙ্কারার জন্য সহজ হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রথম দফা এস-৪০০ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তুরস্ক। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে এই ব্যবস্থা কেনার ব্যাপারে চুক্তি সই হয়। এস-৪০০ ব্যবস্থায় পাঁচ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রুর যেকোনো লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে তাতে একযোগে ৭২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ব্যবস্থা রয়েছে।
Advertisement
এমএসএম/জেআইএম