আন্তর্জাতিক

ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে আরও ২০ নারী থানা

ধর্ষণসহ নারীদের ওপরে সংগঠিত অপরাধ ঠেকাতে আরও ২০টি নতুন নারী থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন। প্রতিটি মহকুমায় একটি করে নারী থানা বানাতে চাচ্ছে নবান্ন। বর্তমানে রাজ্যে ৪০টি নারী থানা থাকা সত্ত্বেও নারীঘটিত অপরাধ বন্ধ হচ্ছে না।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গে শেষ নারী থানা তৈরি হয়েছে কয়েক বছর আগে। করোনা এবং অন্যান্য কারণে পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফায় নারী থানা গড়ার কাজ হয়নি। অতিমারি পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই নারী থানা নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। থানাগুলোতে ইনস্পেক্টর থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সব স্তরেই নারী পুলিশকর্মী থাকবেন। বাড়তি নারী থানা দুই দফায় তৈরির কথা হয়েছে। যেসব জেলার অধীনে নারী থানা নেই সেগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

রাজ্য পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, যেসব মহকুমায় নারী থানা নেই, জেলা পুলিশের কাছ থেকে সেগুলোর তালিকা চাওয়া হয়েছে।

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের অধীনে রাজ্যে প্রথম নারী থানা তৈরি হয় ২০১২ সালে। নতুন করে দুই দফায় আরও নারী থানা গড়া হলেও বাহিনীতে নারী পুলিশকর্মীর সংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। বর্তমানে রাজ্য পুলিশে নারীকর্মীর সংখ্যা ৯ হাজারের কাছাকাছি। এরমধ্যে নারী ইনস্পেক্টর রয়েছেন মাত্র ২৩ জন। সাব-ইনস্পেক্টরের সংখ্যা ৩৭০। নারী কনস্টেবল আছেন সাড়ে ৮ হাজারের মতো। এছাড়া রাজ্যের হাতে রয়েছে ২ হাজারের বেশি নারী হোমগার্ড ও এনভিএফকর্মী।

Advertisement

রাজ্য সরকারের হিসাব অনুযায়ী প্রতিটি নারী থানায় একজন ইনস্পেক্টর, ৮ জন সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই), ৮ জন এএসআই ও ৩০ জন কনস্টেবল থাকার কথা। তাই নতুন থানা তৈরি করলে দরকার আরও নারী পুলিশকর্মীর।

এমআইএইচ/এমএস