২০১৪ সালে ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এই মঞ্চে যাত্রা শুরু করেছিল পাপুয়া নিউগিনি। কিন্তু বসন্ত বেশিদিন টেকেনি তাদের। পরপর দুই জয়ের পর হারের মুখই দেখতে হয়ে বেশি। বিশেষ করে ২০১৯ সালে এপ্রিলের পর থেকে জিততেই ভুলে গিয়েছিল দলটি।
Advertisement
অবশেষে প্রায় তিন বছর বা ঠিক ১০৫৭ দিন পর জয়ের মুখ দেখলো পাপুয়া নিউগিনি। ২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রকে হারানোর প্রায় তিন বছর পর এবার আরব আমিরাতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে জয়ের দেখা পেলো আসাদ ভালার দল। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসাদই দলকে জয় এনে দিয়েছেন।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৫৮ রানে জেতার পর টানা ১৮টি ম্যাচ হেরেছে পাপুয়া নিউগিনি। এ সময়ের মধ্যে ২ উইকেটে কিংবা মাত্র ৫ রানের হারের তিক্ত অভিজ্ঞতাও পেতে হয়েছে তাদের। অবশেষে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয়ে এই খরা কাটালো দলটি।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বিতীয় লিগের ম্যাচে আগে ব্যাট করে পুরো ৫০ ওভার খেলে ১৪৭ রানে গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত। জবাবে ৪ উইকেট হারালেও মাত্র ৩৬.২ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গিয়েছে পাপুয়া নিউগিনি।
Advertisement
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছেন আসাদ ভালা। তিন নম্বরে নেমে ৯৭ বল থেকে ৬ চারের মারে ৬৮ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন পাপুয়া নিউগিনির অধিনায়ক। এছাড়া দলের তারকা খেলোয়াড় চার্লস আমিনির ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ রান।
এর আগে আরব আমিরাতকে অল্পেই গুটিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক এলেই নাও। তিনি ১০ ওভারে মাত্র ২৭ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। এর বাইরে চাদ সোপার ১৫ রানে ৩ ও রিলে হেকুর ২৯ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।
এই জয়ের পরও অবশ্য পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি। ১৫ ম্যাচে এক জয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচেই রয়েছে পাপুয়া নিউগিনি।
অন্যদিকে ১৭ ম্যাচে ৯ জয় ও দুই পরিত্যক্ত ম্যাচের সুবাদে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে আরব আমিরাত। শীর্ষে থাকা ওমানের সংগ্রহ ২৮ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট।
Advertisement
এসএএস/জেআইএম