লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১২টায় কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর দলগ্রাম ও মদাতী ইউনিয়নের উত্তর মুশরত মদাতী এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর দলগ্রামে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতনের শিকার হয়ে ফারিয়া বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্বামী সুজন মিয়া (৩০), তার বাবা শাহাজাহান আলী ও মা ফরিফা বেগম বাড়িতে মরদেহ রেখে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
অপরদিকে উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের উত্তর মুশরত মদাতী এলাকা থেকে রূপালী খাতুন (২৫) নামে এক নারীর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উত্তর মুশরত মদাতী ৬নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। নিহত ওই নারী তালাকপ্রাপ্ত হয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন।
তার মা আঞ্জুআরা বলেন, রাতে মেয়েসহ নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সে কখন উঠে বাগানবাড়িতে গেছে এটা আমি বলতে পারি না। সকালে তাকে খুঁজতে গিয়ে দেখি সে বাগানে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
Advertisement
রূপালীর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই বছর আগে মেয়ে তালাকপ্রাপ্ত হয়ে বাড়িতে আসে। কয়েকদিন থেকে তার একটু মানসিক সমস্যা ছিল।
উত্তর মুশরত মদাতী ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিজুল ইসলাম মফি বলেন, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া নারীর ইতোপূর্বে দুইটি বিয়ে হয়েছিল। এখন বাবার বাড়িতে থাকেন। তার নামে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড রয়েছে। আমরা সকালে সুপারি বাগানে তার মরদেহ দেখতে পাই।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসূল পৃথক দুই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, আমি ঘটনাস্থালে আছি। তবে বাড়ির অদূরে কিভাবে সে সুপারি বাগানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেলো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রবিউল হাসান/এফএ/এমএস
Advertisement