দেশজুড়ে

পায়রায় প্রথম ফেইজ নির্মাণে বাঁচলো একশ মিলিয়ন ডলার

দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রার প্রথম ফেইজের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে তৈরি ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট থেকে বর্তমানে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।

Advertisement

২০২০ সালে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের দুটি ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। তবে নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে কয়েক দফা ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও সর্বশেষ যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিলো তা থেকে ১শ মিলিয়ন ডলার কম খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। আগামী ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করবেন।

পটুয়াখালী পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মওলা বলেন, সর্বশেষ ২.৪৫ বিলিয়ন ডলার নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করলেও আমাদের ১শ মিলিয়ন ডলারের মতো সাশ্রয় হয়েছে। এখন চলছে ২য় ফেইজের নির্মাণ কাজ। আগামী ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সেটির নির্মাণ কাজও শেষ হবে। ফলে এই প্লান্ট থেকে তখন ২৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে।

এদিকে আগামী ২১ মার্চ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে চলছে প্রস্তুতি। পাশাপাশি এই সফরে তিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে একটি সমাবেশেও অংশগ্রহণ করবেন।

Advertisement

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে মন্ত্রী পরিষদের অন্তত ২০ জন সদস্য, সংসদ সদস্য, ত্রিশের অধিক সচিব এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডররা উপস্থিত থাকবেন। এই সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎতায়নেরও ঘোষণা দেবেন।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালীতে পায়রা ১৩২০ মেঘাওয়াট তাপবিদুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আধুনিক এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা পরিবহনের জন্য রয়েছে নিজস্ব জেটি। যা সম্পূর্ণ ঢাকনাযুক্ত কনভেয়ার বেন্ট’র মাধ্যমে কয়লা ডোমে কয়লা পৌঁছে দেয়।

২০২০ সালের ১৫ মে থেকে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে এবং ওই বছরের ডিসেম্বরে দুটি ইউনিটে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা লাভ করে। তবে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ না হওয়ায় এখন একটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। যার ফলে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তবে এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হলে জাতীয় গ্রিডে ১৩২০ মেগাওয়াটের পুরটাই সরবরাহ করা যাবে বলে জানান পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আব্দুস সালাম আরিফ/এফএ/এমএস

Advertisement