খেলাধুলা

ইয়াসির রাব্বির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সাকিব-তামিম

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল ইয়াসির আলি রাব্বির। দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে তার সংগ্রহ ছিল ০ ও ১ রান। তবু তাকে অকার্যকর ভেবে ছুড়ে ফেলেনি বাংলাদেশের টিম ম্যানেজম্যান্ট।

Advertisement

যার সুফল পাওয়া গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রথম ওয়ানডেতেই। যেখানে বাংলাদেশকে ৩১৪ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার অন্যতম কারিগর ২৬ বছর বয়সী এ ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটার। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খেলেছেন ৪৪ বলে ৫০ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।

ইনিংসের ২৯তম ওভারে দলীয় ১২৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট পতনের পর ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন ইয়াসির। চতুর্থ উইকেটে সাকিবের সঙ্গে গড়েছেন ১১৫ রানের জুটি, তাও কি না মাত্র ১৩.৩ ওভারে। দলকে আড়াইশ ছুঁইছুঁই অবস্থায় পৌঁছে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির।

আউট হওয়ার আগে চারটি চার ও দুইটি ছয়ের মারে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। বিশেষ করে কাগিসো রাবাদার বলে ফ্লিক করে হাঁকানো ছক্কাটি ছিল ম্যাচেরই অন্যতম সেরা শট। এর বাইরে লুঙ্গি এনগিডি কিংবা মার্কো জানসেনকেও দারুণ সামলেছেন এ ডানহাতি ব্যাটার।

Advertisement

তাই তো ঐতিহাসিক জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ইয়াসিরের প্রশংসা করতে ভোলেননি ম্যাচসেরা সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দুজনই আলাদা করে বলেছেন ইয়াসিরের ব্যাটিংয়ের কথা, জানিয়েছেন স্পেশাল ছিল ইনিংসটি।

ম্যাচসেরার পুরস্কার গ্রহণ করতে যাওয়া সাকিব বলেন, ‘ইয়াসির খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। ওর সঙ্গে আমার জুটিটা ভালো ছিল। ইয়াসিরকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। কারণ সে তার ক্যারিয়ারের মাত্র চতুর্থ ম্যাচ খেলছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে। এটা তার জন্য সহজ ছিল না।’

পরে জয়ী অধিনায়কের বক্তব্যে দলের সবাইকে কৃতিত্ব দেওয়ার ফাঁকে তামিম বলেন, ‘সাকিব-ইয়াসির অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছে। আমার মতে, ইয়াসিরের ইনিংস স্পেশাল ছিল। বিশেষ করে যেভাবে সে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামলেছে।’

এসএএস/জেডএইচ/

Advertisement