রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার আনন্দ বাজার বস্তি দখলমুক্ত ও সাময়িকভাবে পরিবহন সেক্টরকে বাস রাখার অনুমতি দিতে না চাওয়ায় নৌ মন্ত্রী শাহজাহান খানের তোপের মুখে পড়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।যানজট নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত সভায় এঘটনা ঘটে। অবশ্য পরে চাপের মুখে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে মৌখিকভাবে জমি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন রেলমন্ত্রী। মেয়র সাঈদ খোকনের নের্তৃত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খান মো. এনায়েতুল্লাহ, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন, ডিএমপি ডিসি (ট্রাফিক, দক্ষিণ) খান মো. রেজওয়ান, ডিসি(পূর্ব) মাইনুল ইসলামসহ বাস ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ও সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ। সভায় যানজট নিরসনকল্পে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খান মো. এনায়েতুল্লাহ বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর যানজট নিরসনে দুই সিটি কর্পোরেশন মেয়র যুগোপযুগী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তবে গুলিস্তান, সায়েদাবাদ ও ফুলবাড়িয়াতে রাখার জায়গা না থাকায় বাস রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে থাকে। সে কারণে যানজট হচ্ছে। এই যানজট নিরসনে আনন্দ বাজার বস্তি উচ্ছেদ করে সে জমি যদি রেলওয়ে সিটি কর্পোরেশনকে দিতো তাহলে সে জমি পরিবহন সেক্টরের কাজে ব্যবহার করা সম্ভব ছিল। এতে করে যানজট বেশ কিছুটা নিরসণ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।এর প্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন উপস্থিত রেলমন্ত্রী বরাবর প্রস্তাব আকারে তুলে ধরেন। এসময় রেলমন্ত্রী বলেন, আনন্দ বাজার বস্তিতে বহুতল আইকন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তাই রেলওয়ের পক্ষ থেকে সহযোগীতা করা গেলেও আনন্দ বাজারের জমি দিতে পারছি না। রেলমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে অনেকটা চটে যান নৌ পরিবহন মন্ত্রী। তিনি মাইক নিয়ে বলেন, “মাননীয় রেলমন্ত্রী আপনি কোন শতাব্দীতে কোন যুগে আনন্দ বাজার বস্তিতে ভবন করবেন, আদৌ পারবেন কিনা, তা সময় সাপেক্ষ, আপনি ভবনের ডিজাইন করেন নি, কমপক্ষে ১০টি সংস্থার অনুমোদন লাগবে তা হয়নি। তাহলে আপনি তাহলে কেন জমি দেবেন না?তিনি আরো বলেন, আপনি যখনই ভবন করবেন তার এক মাস আগে আপনার জমি আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে। এর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত জমিটি আপনি সিটি কর্পোরেশনকে দিয়ে দেন। এ জন্য কোনো লিখিতও লাগবে না। এখানে ফরমাল মিটিং হচ্ছে। এখানে যে সিদ্ধান্ত হবে তাই লিখিত।এ প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী বলেন, ঠিক আছে জমিটি তাহলে দিয়ে দিই। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, সিটি কর্পোরেশন রেলওয়ের জমি দখলে নিয়ে রাখবে। পরে সভার সভাপতি সাঈদ খোকন বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খানের নের্তৃত্বে ৪ সদস্যের একটি কমিটিকে এ বিষয়টি সুরাহার অনুরোধ জানান তিনি। কমিটির সদস্যরা হলেন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খান মো. এনায়েতুল্লাহ, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন, ও ট্রাক মালিক সতিমির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান।জেইউ/এএইচ/এমএস
Advertisement