বিপিএল থেকেই দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন ইমরুল কায়েস। অসাধারণ নেতৃত্ব দিয়ে বিপিএল শিরোপা জিতিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে হাল ধরেছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে। এখানেও সেই ক্যারিশমা অব্যাহত রেখেছেন বাংলাদেশ দলের এক সময়ের এই ওপেনার।
Advertisement
এবার তো রীতিমত সেঞ্চুরিই হাঁকিয়ে বসলেন ইমরুল। লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে খেলতে নেমে ইমরুলের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৪৯ রানের বড় জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
১৩৯ বলে ১২২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ইমরুল কায়েস। ১৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
বিকেএসপির তিন নম্বর গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর ওপেনার সৈকত আলী ৪ বলে ৬ রান করে আউট হয়ে যাওয়ার পর আরেক ওপেনার সাইফ হাসানের সঙ্গে জুটি বাধেন ইমরুল কায়েস। দু’জন মিলে ১৬৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন।
Advertisement
মেহেদী হাসান রানার বলে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে সাইফ হাসান যখন ফিরে যান তখন দলের রান ১৭১। ৭৯ বলে ৭৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়েন ইমরুল। দলীয় ২৫০ রানে যখন তিনি আউট হন তখন তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছিল ১২২ রানের জ্বলজ্বলে ইনিংস।
নুরুল হাসান সোহান আউট হন ৬৩ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে। পারভেজ রসুল আউট হন ১১ রান করে। জিয়াউর রহমান অপরাজিত থাকেন ৬ রানে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯৭ রান করে শেখ জামাল। মেহেদী হাসান রানা ২টি, মাশরাফি মোর্তুজা, শফিউল ইসলাম এবং চিরাগ জনি নেন ১টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে ৪৭.৩ ওভারে ২৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায় লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। নাঈম ইসলাম ১১১ বলে ৯৫ রান করার পর আউট হয়ে যান। ভারতীয় ক্রিকেটার চিরাগ জনি ৭০ বলে করেন ৫৯ রান, তানজিদ হাসান তামিম করেন ৪৯ রান। এছাড়া সাব্বির রহমান রুম্মন করেন ২৫ রান। মাশরাফি করেন ৫ বলে ৪ রান।
মূলতঃ শেখ জামালের স্পিনার সানজামুল ইসলামের ঘূর্ণি তোপে পড়েই অবস্থা খারাপ হয়ে যায় লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের। ১০ ওভার বল করে ৪৭ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট নেন তিনি। ২টি করে উইকেট নেন পারভেজ রসুল এবং মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী।
Advertisement
লিগের প্রথম ম্যাচে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি।
আইএইচএস/